নেত্রকোনার পূর্বধলায় থানা হাজতের টয়লেটের গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার এক মাস পর জোড়া খুনের আসামি রুবেল মিয়াকে (২৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
আসামি গ্রেফতারের পর থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন বাকালী ও সাময়িকভাবে বরখাস্ত ডিউটি অফিসার এএসআই মোজাম্মেল ও আসামির স্পেশাল ডিউটিরত কনস্টেবল তাফাজ্জল হোসেনসহ পুলিশ প্রশাসনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিরঞ্জন দেব জাগো নিউজকে জানান, পূর্বধলার খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়য়াকান্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া ছিল মোটরসাইকেল চালক কাকন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পলাতক আসামি।
পুলিশ জানায়, গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রুবেলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর দিন বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে থানা হাজতের টয়লেটের জানালার গ্রিল ভেঙে পুলিশের নিরাপত্তা বেস্টনি থেকে পালিয়ে যায়।
Advertisement
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী তাৎক্ষণিক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন বাকালীকে প্রত্যাহার ও ডিউটি অফিসার এএসআই মোজাম্মেল ও আসামির স্পেশাল ডিউটিরত কনস্টেবল তোফাজ্জল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এসএম আশরাফুল আলম, নেত্রকোনা সদর সার্কেল সানোয়ার হোসেন ও নেত্রকোনা ডিআইও-১ মো. আবদুর রহমানকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন।
পরে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝির দিক নির্দেশনায় ও পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তদারকিতে পূর্বধলা থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মিজানের সহায়তায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিকুল ইসলাম, এএসআই আছাদুজ্জামান ও কনস্টেবল স্বপন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে।
কামাল হোসাইন/আরএআর/আরআইপি
Advertisement