জাতীয়

অর্থবছর শেষ : ব্যাংকে বাড়ি ভাড়া আদায়ে অগ্রগতি নেই

মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে ২০১৪-১৫ অর্থবছর। বাড়ি ভাড়া ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আদায়ের ঘোষণা দিয়ে কোনো ফল আসেনি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এরপর পুরো অর্থবছর কেটে যাচ্ছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা যেন ঘোষণাতেই শেষ।কিন্তু রাজস্ব কর্মকর্তাদের মত, এটি কার্যকর করা গেলে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হতো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রচারের কিছু উদ্যোগ নিলেও বাড়ির মালিকরা এতে সাড়া দেননি। অন্যদিকে, জরিমানা আদায়ের প্রস্তাব থাকলেও সেদিকে যায়নি রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, গত অর্থবছরের বাজেটে ২৫ হাজার টাকার বেশি বাড়ি ভাড়া হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে বলে বলা হয়। সেটি বাণিজ্যিক বা আবাসিক দুটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়। এরপর পুরো অর্থবছর কেটে গেলো। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এক্ষেত্রে এক টাকাও জরিমানা আদায় করতে পারেনি রাজস্ব বোর্ড।অর্থমন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করেছেন, বাড়ির মালিকদের কারণে এটি কার্যকর করা গেলো না। এটি রাজনৈতিক বিষয়। সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ জুন এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল এনবিআর। এনবিআর ‘নতুন করদাতা’ শনাক্তে ২০১৩ সালে সারাদেশে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিপ পরিচালনা করে। এতে সারাদেশে এক লাখ ৬০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিক ও প্রায় পাঁচ লাখ বাড়ি মালিকের তথ্য মেলে। যাদের কারো কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেই।এর মধ্যে কিছু বাড়ির মালিক আয়কর বিবরণী দাখিল করলেও বাড়ি ভাড়ার ওপর আয়কর না দিয়ে বছরের পর বছর তা ফাঁকি দিয়ে আসছে।এনবিআরের আদেশ অমান্য করলে বাড়ির মালিককে প্রযোজ্য করের ৫০ শতাংশ বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে।সূত্র জানায়, আয়কর বিবরণীতে এক বছরের ভাড়া দেখাতে হবে। আবাসিকে ২৫ ও বাণিজ্যিকে ৩০ শতাংশ ভাড়ার কর ও বিবরণী জমার আগেই তা পরিশোধ করতে হবে।তবে এনবিআর বলছে, ব্যাংকে বাড়ি ভাড়া তদারকিতে সারাদেশে শতাধিক রাজস্ব কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।এসএ/বিএ/পিআর

Advertisement