খেলাধুলা

রংপুরকে উড়িয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন রাজশাহীর কিংসদের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে চলে গিয়েছিল রাজশাহী কিংস। তবে ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচেই মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুরকে হারিয়ে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রাজশাহীর কিংসদের। দুই ওপেনার মুমিনুল হক এবং লেন্ডল সিমন্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শক্তিশালী রংপুরের বিপক্ষে ‘রাজার মত’ই ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে রাজশাহী।

Advertisement

১৩৫ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহীর দুই ওপেনার সিমন্স-মুমিনুলই গড়ে ফেলেন ১২২ রানের বিশাল জুটি। সিমন্স রানআউট হয়ে ফিরে গেলে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন ম্যারকম ওয়েলার। পরের বলেই অবশ্য ওয়েলারের উইকেটটি তুলে নিয়ে রাজশাহীকে কিছুটা ধাক্কা দেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।

পরপর দুই উইকেট হারালেও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্ট হয়নি রাজশাহীর। চার নম্বরে উইকেটে আসা রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ২০ বল হাতে রেখেই দলকে ৮ উইকেটের জয় উপহার দেন মুমিনুল হক। মুমিনুল-সিমন্স জুটি যদি আর তিনটি রান করতে পারতেন, তাহলে বিপিএলের চলতি আসরের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন তারা। যে রেকর্ডটি রয়েছে এখন সিলেটের দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং আন্দ্রে ফ্লেচারের (১২৫) দখলে।

মুমিনুল-সিমন্স জুটির কাছেই মূলতঃ হার মানতে হয়েছে মাশরাফি-মালিঙ্গাদের। একই সঙ্গে চলচি আসরের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মমিনুল হক সৌরভ। রংপুরের হয়ে ১টি উইকেট পেয়েছেন থিসারা পেরেরা। আর সিমন্স হয়েছেন রান আউট।

Advertisement

জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এই দুই ওপেনার প্রথম থেকেই দেখে-শুনে খেলতে থাকেন রংপুরের বোলারদের। যে কারণে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি ৬জন বোলার ব্যবহার করেও ব্যর্থ হন।

শেষ পর্যন্ত মুমিনুল ৩টি ছক্কা এবং ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৪ বলে করেন হার না মানা ৬৩ রান। সিমন্সও কম যাননি। একটি ছক্কা এবং ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে তিনিও করেন ৫৩ রান।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।

টস জিতে রংপুরের হয়ে ওপেন করতে নামেন চার্লস জনসন এবং অ্যাডাম লিথ। রাজশাহীর হয়ে বল হাতে ইনিংস ইনিংস শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের ওভারের তৃতীয় বলটি লং অন দিয়ে খেলতে গিয়ে ম্যালকম ওয়েলারের হাতে ধরা পড়েন চার্লস। ফলে দলীয় তিন রানেই সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান।

Advertisement

এরপর জোড়া আঘাত হানেন ফরহাদ রেজা। দলীয় ৩২ রানে লিথ ও ৩৩ রানে মোহাম্মদ মিথুনকে ফেরান এ মিডিয়াম ফাস্ট বোলার।

এরপর রংপুরের হাল ধরেন শাহরিয়ার নাফীস এবং রবি বোপারা। দু’জন মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। যা রংপুরের এই সংগ্রহে বড় ভূমিকা রাখে। নাফীস ২৩ রান করে উইলিয়ামসের বলে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত খেলে যান বোপারা। তুলে নেনে এ আসরের ব্যক্তিগত প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। খেলেন ৫১ বলে দুই ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে হার না মানা ৫৪ রানের ঝলমলে একটি ইনিংস। রংপুরের হয়ে এটিই ছিল সর্বোচ্চ রান।

রাজশাহীর হয়ে ফরহাদ রেজা দুইটি উইকেট ছাড়াও, মিরাজ, উইলিয়ামস ও ফ্রাঙ্কলিন পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার উঠেছে মমিনুল হক সৌরভের হাতে।

এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি