ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, আমরা বড় বড় নৈতিকতার কথা বলবো কিন্তু নিজেরা নৈতিকতা চর্চা করবো না, তা হয় না। এ ধরনের মানসিকতা আরও বড় অসততার সামিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টার-এ টিআইবির সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় যুব-সততা জরিপ ২০১৫’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সুলতানা কামাল বলেন, যুবদের একটা বড় অংশ সততা ও নৈতিকা চর্চা করতে চায়। কিন্তু রাজনীতি, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনশৃঙ্খলাজনিত হয়রানিসহ নানা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হয় না।তিনি আরো বলেন, আমরা যখন নৈতিকতা নিয়ে ভাবছি, কথা বলছি তখন যুবদের কাছ থেকে সম্ভাবনার কথা শুনতে পাচ্ছি যা অত্যন্ত ইতিবাচক। যুবরা সততার চর্চায় আগ্রহী বলে জরিপে উঠে এসেছে। যুবরা সততার প্রশ্নে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা টিআইবি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।সততা ও নৈতিকার চর্চার প্রসারে শিক্ষার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির প্রতি গুরুত্বারোপ করে টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সামাজিকভাবে যখন দুর্নীতি গ্রহণযোগ্য হয়ে দাঁড়ায় তখন তা ভাববার বিষয়। সততা নৈতিকার প্রশ্নের যুবদের ভূমিকা দেশে সব সময়ই প্রশংসনীয়। তাদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক মানসিকতাকে সরকার কাজে লাগাতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জেইউ/এএইচ/এমএস
Advertisement