আন্তর্জাতিক

সামরিক মহড়ায় শক্তি প্রদর্শন দ. কোরিয়া- যুক্তরাষ্ট্রের

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝে শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ সঙ্গে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানবাহী রণতরীর সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড্র ট্রাম্পের চলমান এশিয়া সফরের মাঝেই শনিবার দুই দেশের এই যৌথ মহড়া পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শুরু হয়েছে।

Advertisement

চার দিনব্যাপি এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান, ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট ও ইউএসএস নিমিজ অংশ নিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি ডেস্ট্রয়ারসহ সাতটি যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় মার্কিন রণতরীকে সঙ্গ দিচ্ছে। গত এক দশকের মধ্যে এটিই এই অঞ্চলে প্রথম তিন স্তরের অস্বাভাবিক সামরিক মহড়া।

উত্তর কোরিয়া প্রতিনিয়ত এ ধরনের সামরিক অনুশীলনের নিন্দা করে আসছে। দেশটি বলছে, আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতির লক্ষ্যে এই মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন সামরিক মহড়ার জবাবে বিভিন্ন সময়ে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

মার্কিন নৌ বাহিনী বলছে, আকাশ প্রতিরক্ষা অনুশীলন, সমুদ্র নজরদারি, আকাশ প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য অভিযান পরিচালনা করবে যুদ্ধজাহাজ। চলতি সপ্তাহে টোকিও, সিউল ও বেইজিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের পর এই সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে এক বৈঠকে কোরীয় দ্বীপে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে ঐক্যমতে পৌঁছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রকে ছোট করে না দেখতে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দেন। এসময় তিনি পারমাণবিক উচ্চাশা ত্যাগ করলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ভবিষ্যৎ ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেন। চলতি বছর উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।

সূত্র : এএফপি।

এসআইএস/আরআইপি

Advertisement