বান্দরবান জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও বন্যাদুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ও খাদ্যশস্যের পরিমাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জেলায় সরকারিভাবে ত্রিশ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ৩ দফায় ২০ লাখ টাকা এবং ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তবে জনপ্রতিনিধিদের হিসাবে বন্যায় ৪০ হাজার পরিবারের ২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ত্রাণ পাননি জেলার অধিকাংশ এলাকার মানুষ ।প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে বান্দরবান জেলার জন্য ৩ দফায় ২০ লাখ টাকা এবং ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লামা উপজেলায় ৭৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৭২ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, সদর উপজেলায় ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আলীকদম উপজেলায় ৩৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং থানচি উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, সরকারি হিসাব অনুসারে ৩০ হাজার পরিবারের জন্য ২০ লাখ টাকা এবং ২৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। আর এই ৪০ হাজার পরিবারের ২ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখ টাকা ভাগ করে দিলে প্রতিজন পায় ১০ টাকা এবং ২৫০ মেট্রিক টন চাল ভাগ করে দিলে প্রতিজন সোয়া কেজি চালের বেশি পায় না। বরাদ্দ খুবই অপর্যাপ্ত হওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারই ত্রাণ পাচ্ছেন না ।উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানান, লামায় বন্যায় ১৪ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতিজন পায় মাত্র ৩০ টাকা। বরাদ্দ কম হওয়ায় সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে টাকা বিলি করা সম্ভব হচ্ছে না। কোথাও ত্রাণ দেওয়া যাবে কোথাও দেওয়া যাবে না। সাহায্যের জন্য আমরা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি ।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়েত জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত চাল এবং টাকা বিতরণ করা হয়েছে । তবে উপজেলার বাইশারি, দোছড়ি ও সোনাইছড়ির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ত্রাণ বিতরণ করতে সময় লাগছে ।সৈকত দাশ/এসএস/পিআর
Advertisement