বিদেশি একটি প্রতারকচক্রের সঙ্গে অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগে সংশ্লিষ্টতা থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বীরপ্রতীক হাবিবুল আলমকে তুলে নিয়ে গেছে র্যাব।
Advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক লিমিটেড (আইএসএন) কার্যালয় থেকে বীরপ্রতীক হাবিবুলকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব-১ সদস্যরা।
হাবিবুলের বোন অধ্যাপক শাহিন আলম বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে কয়েকজন র্যাব সদস্য তাকে (হাবিবুল) অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায়। অনুসরণ করে দেখা যায়, হাবিবুলকে বহনকারী গাড়িটি উত্তরায় র্যাব-১ কার্যালয়ে ঢোকে।’
তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। রমনা থানায় জিডির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে পুলিশ জানায়- তিনি (হাবিবুল) র্যাব-১ কার্যালয়ে আছেন।
Advertisement
এ ব্যাপারে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম জাগো নিউজকে বলেন, এক ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ক্যামেরুনের একটি প্রতারকচক্র। ওই ঘটনার তদন্তে তিন ক্যামেরুন নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।
পরে প্রতারকদের ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে মুক্তযোদ্ধা হাবিবুল আলমের কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিষয়টি তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়।
র্যাব-১ সিও আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (হাবিবুল) জানিয়েছেন, আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের ওই প্রতারকচক্রটি তার সাড়ে ১১ হাজার ইউএস ডলার মেরে দিয়েছে। ওই টাকা উদ্ধারে তিনি গোপনে চেষ্টা করছেন।
তিন বলেন, হাবিবুল আলম নিজে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নাকি নিজে প্রতারিত হচ্ছেন তা নিশ্চিত নই। নিশ্চিত হতেই তাকে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যদি প্রতারণার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া না যায় তবে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, হাবিবুল আলম একাত্তরে ঢাকায় অভিযান পরিচালনাকারী গেরিলা দল ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের (আইএসএন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জেইউ/জেডএ/বিএ