রাজনীতি

ইনুর বক্তব্য অভিমানের বোমা : কাদের

আপনারা ৮০ পয়সার মালিক, এক টাকার মালিক না। যতক্ষণ এক টাকা হবে না, ততক্ষণ ক্ষমতা পাবেন না।

Advertisement

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেয়া এমন বক্তব্যকে ‘অভিমানের বোমা ফাটানো’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দু’টির বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্পিচ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

Advertisement

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি নিজেও জানেন আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন করলে ফলাফল কী হবে। সেটা তিনি আগেও টেস্ট করেছেন। তিনি অভিমান থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি আমাদের ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমকে জানিয়েছি। এটা নিয়ে আর বেশি কিছু এখানে না বলাই ভালো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইনু সাহেব হয়তো এমন বক্তব্য দিয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে চাচ্ছেন।’

ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে যা হচ্ছে তা কোনো তথ্য সন্ত্রাস নয়। তথ্য সন্ত্রাস ঘাড়ে চাঁপিয়ে নিজেরা আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। বরং সেটি হবে আত্মবিনাশী সিদ্ধান্ত। সত্যকে স্বীকার করতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নির্বাচনের বছরে আওয়ামী লীগকে ছোট করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে- এমন মন্তব্য করে, ছাত্রলীগ যেন এ ধরনের ফাঁদে পা না দেয় বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

Advertisement

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা এ ভাষণটি যত্রতত্র বাজাই, শুনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব এটি যেন আমরা সবখানে না বাজাই। যে ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে আমরা এটিকে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করব। এটির যত্রতত্র ব্যবহার উচিত নয়। বিশেষ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, জাতীয় দিবস, ফেব্রুয়ারি মাস, মার্চ মাস, ডিসেম্বর মাসে এবং ক্ষেত্র বিশেষে এটির ব্যবহার করা উচিত।

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদের জবাব জাতিসংঘ দিয়েছে। স্বাধীনতা নিয়ে জিয়াউর রহমানের একটি লেখা রয়েছে। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারপরেও বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এখন নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ। কোনো প্রোগ্রাম বিশৃঙ্খলা ছাড়া তারা শেষ করতে পারে না। চেয়ার ছোড়াছুড়ি, মারামারির কারণে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বিশৃঙ্খলা করলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে।

এমএইচ/এনএফ/আরআইপি