জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় পিডব্লিউডি’র উদ্যোগে বাংলাদেশে ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে ছয়টি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা গেলে তা ভূমিকম্প সহনশীল হবে বলে জানিয়েছেন জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদল।সোমবার রাজধানীর গণপূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাইকার সিএনসিআরপি প্রকল্প ও পিডব্লিউডি’র উদ্যোগে ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে রেট্রোফিট টেকনোলোজি ব্যবহার বিষয়ক এক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে এসব কথা জানান জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদল।কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পিডব্লিউডি’র প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মানার পাশাপাশি রেট্রোফিট টেকনোলোজি ব্যবহার জরুরি। জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানান, ঢাকার মত নগরী যেখানে অসংখ্য ভবন ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে জাপানি রেট্রোফিটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা গেলে ভবনগুলোকেও ভূমিকম্প সহনশীল করা সম্ভব। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- জাইকার বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র প্রতিনিধি হিরোইউকি তোমিতা, সিএনসিআরপির’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আইনুল ফরহাদ ও জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ। ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না ভেঙ্গে রেট্রোফিট টেকনোলোজি ব্যবহার করা গেলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ আর্থিক খরচ কমানো সম্ভব বলেও জানান সিএনসিআরপির’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আইনুল ফরহাদ।জাইকার সিএনসিআরপি প্রকল্পের মাধ্যমে গত ৪ বছর পিডব্লিউডি’র প্রকৌশলীদের ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাপানি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে ঢাকার তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস ভবনকে জাপানি রেট্রোফিট টেকনোলোজির মাধ্যমে ভূমিকম্প সহনশীল করা হয়েছে।এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement