তিন বলে তিনটি উইকেট গেলে ক্রিকেটের ভাষায় তাকে হ্যাটট্রিক বলে। তবে তিন বলে তিনটি উইকেট পাওয়ার পরও হ্যাটট্রিক হল না চিটাগং ভাইকিংসের তাসকিন আহমেদের। ডানহাতি এই পেসারের হাত ছুঁয়ে তিন নাম্বার উইকেটটি এলেও সেটা যে রান আউট ছিল!
Advertisement
জয়ের দিকে ধীরে ধীরে আগাচ্ছিলেন রংপুরের দুই ব্যাটসম্যান রবি বোপারা আর শাহরিয়ার নাফিস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে বল করতে আসেন দীর্ঘদিন ধরে অফ ফর্মে থাকা সদ্য বিবাহিত জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
ওভারের প্রথম ২ বলে তিনি দুই রান দেন। তৃতীয় বলটি ডট দেন। এরপরের বলটিই ওয়াইড দেন। এরপরই শুরু হয় তাসকিন ঝড় । পরের বলটিতেই শাহরিয়ার নাফিসকে সরাসরি বোল্ড করে দেন এই পেসার।
এরপরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ সেনওয়ারিকে ফেরান তাসকিন। তাসকিনের করা বলটিতে মিসবাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগানিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কোন উইকেট না পাওয়া তাসকিন তাতে হ্যাটট্রিকের খুব কাছে চলে আসেন। পুরো মাঠে তখন পিন পতন নীরবতা।
Advertisement
ওভারের শেষ বলটি করার জন্য দৌড় শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। ব্যাটিং করছিলেন থিসারা পেরেরা। তাসকিনের বলটিকে সোজা ব্যাটে খেলেন পেরেরা।
কিন্তু এ যেন রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মত 'শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।' বল যখন তাসকিনকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলো তখন তিনি পা বাড়িয়ে দেন। তার পায়ে বল লেগে সোজা গিয়ে নন স্টাইকের উইকেটে আঘাত হানে। সাথে সাথে পুরো দল আবেদন করে। টিভি আম্পায়ার জানান, রবি বোপারা ছিলেন দাগের বাইরে। ফলে টানা তিন বলে তিন উইকেটই আসে তাসকিনের হাত ধরে। তবে সেটা হ্যাটট্রিক নয়!
নিন্দুকেরা বারবার বলছিলেন তাসকিন ফুরিয়ে গেছেন। তবে একদল ঠিকই বলছিল, তাসকিন ফিরবে। তবে এত দ্রুত এতটা ভয়ংকর হয়ে ফিরবেন, তা হয়তো রংপুরের অধিনায়কও ভাবতে পারেননি! এমএএন/এমএমআর/আরআইপি
Advertisement