জ্ঞানের আলোকে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি একটি উৎপাদনশীল মানবশক্তিতে রুপান্তরিত করা যায়, তাহলে জীবনমান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সচল হতো অর্থনৈতিক চাকা। একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে দেশের অবস্থান আরো দৃঢ় করতে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের বিকল্প নেই।
Advertisement
এখনো আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অত্যন্ত হতাশাজনক। পোশাকশিল্প আর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স রাজস্ব আয় বাড়ালেও উভয়ক্ষেত্রে মূলত বাংলাদেশিরা শ্রমিক পর্যায়ের কাজের অন্তর্ভুক্ত। জ্ঞানভিত্তিক দক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তির অভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন। তাই শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির সাথে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো অতি জরুরি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়া জাপান কঠোর পরিশ্রম আর কারিগরি দক্ষতার কারণে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়াই বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হতে পেরেছে। প্রায় সমানসংখ্যক জনসংখ্যা, সমতলভূমি বিবেচনায় জনসংখ্যার ঘনত্বের মিল থাকার পরও শিক্ষা, জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতার জন্য আমাদের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে গেছে জাপান।
> আরও পড়ুন- নতুনরা দ্রুত সফল হতে চান : আদনান ইমতিয়াজ হালিম
Advertisement
মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা পাওয়া সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সবপর্যায়ে সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে সম্পদে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
আমাদের দেশেও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করার জোর উদ্যোগ নিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার, যা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার একটি অপরিহার্য অংশ, শিক্ষার সর্বস্তরে এর ব্যাপক প্রসার ঘটানো প্রয়োজন।
সরকার দেশবাসীকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, তা মূলত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনেরই আরেক নাম। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গঠন করতে পারলে বিপুল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে উন্নীত করা যাবে এবং দ্রুতগতিতে সচল করা যাবে অর্থনীতির চাকা।
এসইউ/পিআর
Advertisement