শরীয়তপুরের দাদপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইসহাক ফকির নামে এক কৃষক খুনের ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকায় ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কিছু স্বার্থান্বেষী লোক নিহতের পরিবারের নামে এ লুটপাট করে বলে জানা গেছে।এদিকে এ ঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের ছেলে সুলতান মাহমুদ। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের কৃষক ইসহাক ফকিরকে তার চাচাতো ভাইরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী লোক অভিযুক্তদের এবং তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ঘরের সকল মালামালসহ ঘরের টিন ও ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এছাড়া ১ টি মোটরসাইকেল, ৩টি সোলার, ২টি টিউবওয়েল, ৬টি ছাগল ও৭ টি গরু নিয়ে গেছে।
Advertisement
নিহতের ছেলে সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ওই দিন বিকালে বাড়ি আসি। কে বা কারা হামলা ও লুটপাট করেছে আমি জানি না। আমরা নিরীহ লোক। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।ক্ষতিগ্রস্ত ইমাম হোসেন ফকির বলেন, আব্দুল হক ফকির, সোহাগ ফকির ও কুদ্দুস ফকিরের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন গত দুই দিন আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আমাদের ১০টি ঘর ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও গরু-ছাগলসহ ঘরের মধ্যে থাকা সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।মো. ছগির হোসেন/এসএস/আরআইপি