সফররত ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) মহাসচিব মার্টিন চুংগং সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক যোগাযোগ সুবিধার বিষয়টিকে সরকার দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের কার্যকর প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।মাহমুদ আলী আইপিইউ’র কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে মাতৃ অপুষ্টি, বাল্যবিবাহ, অদক্ষ ধাত্রী এবং শিক্ষাস্তরে জেন্ডার বৈষম্যের মতো বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আইপিইউ মহাসচিব আইপিইউ’র সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আইপিইউ অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি আইপিইউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ ও আইপিইউ’র মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়ক হবে।আইপিইউ মহাসচিব বিদ্যমান উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পার্লামেন্টের ভূমিকা আরো জোরদারে আইপিইউ এবং ইউএন পার্লামেন্টের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তিসহ সাম্প্রতিক উদ্যোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।তিনি আইপিইউ’র চলতি কার্যক্রম এসডিজিএস সহ ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে পার্লামেন্টের ভূমিকা জোরদারের প্রশংসা করেন।আইপিইউ মহাসচিব চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা গ্রহণে আইপিইউ’র উদ্যোগে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন। মন্ত্রী এ ক্ষেত্রে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।বৈঠককালে তারা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ সম্পর্ক জোরদারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।এসএইচএস/পিআর
Advertisement