পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখতে জেলা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভোগান্তি কমাতে সোমবার সকাল থেকে নতুন এ ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করা হয়।এদিকে, ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভোগান্তি কমাতে জেলা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের নতুন এ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। নতুন এ ব্যবস্থায় নগরীর যানজট অনেকটাই কমে আসবে বলে তারা মনে করছেন।ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ সামসুল আলম জাগো নিউজকে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষ রংপুরে কেনাকাটা করতে আসেন। বাড়তি যানবাহনের চাপের কারণে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মানুষ যাতে যানজটের কবলে না পড়ে এজন্য নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থায় নগরীর ব্যস্ততম সড়কের ৫টি পয়েন্টে যান্ত্রিক যানবাহনকে থামতে বাধ্য করা হচ্ছে। পয়েন্টগুলো হলো টাউন হল, বেতপট্টি অশ্বনী রোড, গ্রান্ড হোটেল মোড়, লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কাস্টম অফিস।তিনি আরো জানান, নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থায় কাচারী বাজার থেকে সকল যান্ত্রিক যানবহন টাউন হলের সামনে এসে থামবে। অন্যত্র যেতে চাইলে সাবেক লক্ষ্মী সিনেমা হল সংলগ্ন নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া সড়ক বাইপাস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অন্যদিকে, জজ কোর্ট থেকে জাহাজ কোম্পানি অভিমুখী বেতপট্টি সড়কের অশ্বনী সড়ক ফলক চিহ্নের কাছে সকল যান্ত্রিক যানবাহন থামবে। শাপলা চত্বর থেকে জাহাজ কোম্পানি অভিমুখী সড়কের গ্রান্ড হোটেল মোড়ে যান্ত্রিক যানবাহন থামবে। সাতমাথা থেকে জাহাজ কোম্পানি সড়কে এবং সেন্ট্রাল রোডে চলাচলকারী যানবাহন যথাক্রমে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কাস্টমস অফিসের সামনে থামবে।এছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধার জন্য জেলা পরিষদ এবং টাউন হল চত্বর ব্যবহৃত হবে। নতুন এই ট্রাফিক ব্যবস্থা ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে রিকশা ও মোটরসাইকেল যথারীতি সকল সড়কে চলবে।ট্রাফিক ইনচার্জ আরো জানান, নতুন এ ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ৪৭ জন কনস্টেবল, ৪ জন টিএসআই এবং ৬ জন হাবিলদার বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে। তবে স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে যানজটের বাড়তি এ চাপ নিরসন করা কষ্টকর।যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের এ ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সদরুল আলম দুলু, অধ্যাপক আব্দুর রউফ সরকার, সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। নতুন এ ট্রাফিক ব্যবস্থা ঈদে কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভোগান্তি লাঘব করবে বলে তারা মনে করেন।এমজেড/আরআই
Advertisement