বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি মেটাতে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করছে সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চিনি আমদানি করা হবে।
Advertisement
প্রতি মেট্রিক টন ৪৬৫.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে মেসার্স গ্লোবোপিউ ইম্পোর্ট এক্সপোর্ট লিমিটেডকে সরবরাহের কাজ দেয়ার বিবেচনায় নিয়েছে শিল্পমন্ত্রণালয়। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের সহায়তায় এ চিনি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৩ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ১৫০ টাকা।আগামীকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় চিনি আমদানি সংক্রান্ত এ প্রস্তাবনা অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
শিল্পমন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সে মোতাবেক আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। আমদানিকৃত চিনির ব্যয় ৫০ কোটির বেশি হওয়ায় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিএসএফআইসি সূত্র মতে, চলতি ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ইত্যাদি রেশনের জন্য সংরক্ষতি রয়েছে ২০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন। ফলে বিতরণযোগ্য চিনির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৬৪ মেট্রিক টনে। এ চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণসহ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে সংস্থাটি।
Advertisement
এছাড়া চলতি বছরের অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে আখ উৎপাদন ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছে বিএসএফআইসি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চিনির দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করতে পারে। আর এজন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগভাগেই চিনি আমদানির করবে সরকার।
এমইউএইচ/ওআর/আরআইপি