হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, ‘সময় মতো নামাজ আদায় করা।’ আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘অতঃপর মাতা পিতার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা।’ (বুখারি)
Advertisement
মাতা পিতার সঙ্গে ভাল ব্যবহার সন্তানের জন্য সর্বোত্তম আমল। যদি পিতা-মাতা কেউ বেঁচে না থাকে তবে সন্তান-সন্তুতির জন্য করণীয় কী? তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা জান্নাতে তাঁর কোনো নেককার বান্দার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। বান্দা তখন বলবে, হে আমার প্রভু! আমার জন্য এ সব (মর্যাদা) কোথা থেকে এলো এবং কি কারণে এলো?
তখণ আল্লাহ তাআলা বলবে, ‘তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে (তোমার মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে)। (মুসনাদে আহমদ)
Advertisement
উল্লেখিত হাদিসে কুদসিতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্তানের দোয়ার ফজিলত তুলে ধরেছেন। যাতে দুনিয়ার সব সন্তানই তাঁর মৃত পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে।
মনে রাখতে হবেকোনো ব্যক্তির পিতা-মাতা মুসলিম (মুমিন) অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে সন্তান-সন্তুতি তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে দোয়া শিখিয়েছেন। এমনকি তারা মৃত মুসলিম মা-বাবার জন্য হজ আদায় করতে পারেন; তাদের রূহের মাগফেরাতের জন্য এবং জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য গরিব-দুঃখীর মাঝে দান-অনুদান দিতে পারেন।
তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, মাতা-পিতা যদি অমুসলিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তবে তাদের জন্য দোয়া করা যাবে না।
পরিশেষে…আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব জীবিত সন্তান-সন্তুতিকে পিতা-মাতার জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। পিতা মাতার জন্য হজ, দান-অনুদান দেয়ার তাওফিক দান করুন। নিজেদের এ মহৎ কাজকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষা স্বরূপ চালু করে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। সর্বোপরি হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আইআই