দেশজুড়ে

নতুন কৌশলে সংগঠিত হচ্ছে হিযবুত তাহরীর

চট্টগ্রামে নতুন কৌশলে সংগটিত হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর । কৌশল পাল্টে সভা ও সদস্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। রোববার রাতে চট্টগ্রামে হিযবুত তাহরীরের তিন নেতা র্যা বের হাতে আটক হওয়ার পর এসব তথ্য জানা গেছে।  আটক তিনজনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূর মোহাম্মদ (২৯), অ্যাকুয়াম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক মুনতাসীর আলম (২৮) এবং সরকারি সিটি কলেজ থেকে পাশ করা বিবিএ শিক্ষার্থী মো. সালাহউদ্দিন (২৮)।র্যা বের চট্টগ্রাম জোনের পরিচালক লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আটককৃতরা হিযবুত তাহরীরের নেতৃস্থানীয় সংগঠক। তারা ২০১০ সাল থেকে চট্টগ্রাম শহরে হিযবুত তাহরীরের কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করছে।গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নানা ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে হিযবুত তাহরীর।নিষিদ্ধ হওয়ার পরও সংগঠনটি শেকড় গেড়েছে চট্টগ্রামে। গোপনে তৎপরতা চালাচ্ছে চকবাজার, বাকলিয়া ও পাঁচলাইশসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায়।  নগরীর কোতোয়ালী থানার সাবেক ইনচার্জ (বর্তমানে বন্দর থানা) ওসি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, দলে টানতে গরিব পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করছে তারা। অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকেও সরকারবিরোধী আন্দোলন ও খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উস্কানি দিচ্ছে তারা। একসময় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজভিত্তিক পরিচালিত হলেও এখন তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম চলছে মুদি দোকানি, ফুটপাতের হকার পর্যন্ত। এর আগে গ্রেফতার হওয়া সাত হিযবুতকর্মীর একজন মুদির দোকানি বলেও জানান তিনি।গ্রেফতার হওয়া হিযবুত তাহরীর নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে নতুন নতুন কৌশলে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছে তারা। একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যবহার করে সাংকেতিক শব্দ। গ্রেফতার এড়াতে গোপনে তারা মিটিং করে না। জমায়েত হয় পার্ক কিংবা জনাকীর্ণ স্থানে। এক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করে রেল স্টেশন কিংবা বাস্ট্যান্ডনকে। জমায়েত হওয়ার পর কেউ কাউকে নিজের সঠিক নাম ঠিকানাও বলে না। মোবাইলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে কম। যোগাযোগ করেন এসএমএসের মাধ্যমে।এসকেডি/এএইচ/পিআর

Advertisement