টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ বিকল থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার রোগাক্রান্ত সাধারণ মানুষদের। এ মেশিনটি বিকল হওয়া সত্ত্বেও উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ দায়সারা ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অনেকেই। রোগীরা এ সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। এর ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। আর এ সুযোগে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো দরিদ্র রোগীদের কাছ থেকে এক্স-রে বাবদ গলাকাটা ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর থেকেই রোগীরা এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলার ছোটচনা গ্রামের কুদরত অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি অকেজো থাকার সুযোগ নিয়ে মাত্র ৭০ টাকার এক্স-রে বাবদ ৩৫০-৪০০ টাকা আদায় করছে। রোগী নিয়ে অন্যত্র যাতায়াত করা কষ্টকর হওয়ায় বাধ্য হয়েই এ আর্থিক ক্ষতি মানচ্ছেন রোগী ও পরিবারগুলো। কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ বিকল পড়ে থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কোন দায়িত্বশীল ভূমিকা না দেখা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেডিওগ্রাফার আমিরুল ইসলাম মোমেন জানান, মেশিনটিতে ত্রুটি দেখা দেয়ার পর ঢাকার ইলেকট্রো মেডিক্যাল প্রকৌশলী এক্স-রে মেশিনটিকে অকেজো ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ডিআই রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চিঠির কোন উত্তর পাননি তিনি।এসএস/পিআর
Advertisement