নির্ধারিত সময়ের পর বাড়িয়ে দেয়া ৪ মিনিটের খেলাও তখন শেষের পথে। আধা মিনিটের মতো তখন বাকি। বাংলাদেশের রক্ষণভাগ রক্ষণে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে তখন। উজবেকিস্তানও দিয়েছে শেষ মরণকামড়। সেই শেষ কামড়েই বাংলাদেশের সব প্রতিরোধ ভেঙে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উজবেকিস্তান। বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি হেরে গেছে ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামানের আত্মঘাতী গোলে। আগের ম্যাচে শেষ মিনিটের গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে যে আশা জেগেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের, উজবেকিস্তানের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে সে আশার আলো এক প্রকার নিভেই গোলো।
Advertisement
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপের টপ ফেবারিট উজবেকিস্তান। প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানকে রুখে দেয়ার পরই বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং শক্তিশালী উজবেক যুবাদের বিরুদ্ধেও পয়েন্ট পাওয়ার জন্য মাঠে নামে। বাংলাদেশ তো পয়েন্ট পেয়েই গিয়েছিল। উজবেকিস্তাননের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়েই ম্যাচটি পার করতে যাচ্ছিল মাহবুব হোসেন রক্সির দল; কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শেষ মুহূর্তের গোল খেয়ে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের।
উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো পর্যায়ের ফুটবলেই অতীতে বাংলাদেশ হার এড়াতে পারেনি। এ প্রথম সে সম্ভাবনা জাগিয়ে ভেস্তে গেলো শেষ মুহূর্তে। উজবেকিস্তান পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের নাভিঃশ্বাস উঠিয়েছেন। মিনিটে মিনিটে আক্রমণ শানিয়ে ব্যতিব্যস্ত করেছে বাংলাদেশের ডিফেন্স। রক্সির শিষ্যরা বক্সের আশপাশে রক্ষণদেয়াল তৈরি করে থামিয়েছে উজবেক-ঝড়। উজবেকদের একের পর এক আক্রমণ যেভাবে পেড়েছে ঠেকিয়েছে। এতে ১৪ টি কর্নার পেয়েছে ফিফা র্যাংকিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৮০ ধাপ ওপরে থাকা উজবেকস্তান।
বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলবে বুধবার শ্রীলংকার বিরুদ্ধে। শ্রীলংকাকে হারালেও বাংলাদেশের ভাগ্য পুরোপুরি নির্ভরশীল তাজিকিস্তানের বাকি দুই ম্যাচের ওপর।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম