আন্তর্জাতিক

প্যারাডাইস পেপার্সে ৭১৪ ভারতীয়র নাম

এবার আর্থিক কেলেঙ্কারির নতুন নথিতে উঠে এসেছে ৭১৪ ভারতীয়র নাম। পানামা পেপারসের মতো এই আর্থিক কেলেঙ্কারির নতুন গোপন নথিকে প্যারাডাইস পেপারস হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

Advertisement

বিশ্বের ক্ষমতাধর ও অতিধনীরা কিভাবে করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত অঞ্চলগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন তা ফাঁস হয়েছে এ পেপারে। ফাঁস হওয়া নতুন তথ্যে ব্রিটেনের রাণী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যমন্ত্রীর, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বহু বিশিষ্টজনের নাম উঠে এসেছে।

হয়েছে ফাঁস হওয়া নথিগুলোর বেশিরভাগই এসেছে বারমুডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাপলবি এবং সিঙ্গাপুরের এশিয়াসিটি ট্রাস্টের কাছ থেকে।

পানামা পেপার্স ফাঁসের ১৮ মাস পরেই নতুন করেই এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো। প্যারাডাইস পেপার্সে রাজনীতিবিদ, তারকা এবং বিভিন্ন অার্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ নথি রয়েছে।

Advertisement

৭১৪ জন ভারতীয়র প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ নথি রয়েছে। অথচ মাত্র দু’দিন পরেই কালো টাকা বিরোধী যে অভিযান সরকার শুরু করেছিল তার এক বছর পুর্তি উদযাপন করবে ভারত।

পানামা পেপারসের মতো এই নথিগুলোও প্রথম হাতে পেয়েছে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম সুদিউতশে জাইতুং। এরপর তারা নথিগুলো ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসকে (আইসিআইজে) দেয়। এই প্রতিষ্ঠানটি ৯৬টি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।

১৯৯ বছরের আইনী প্রতিষ্ঠান বার্মুডাভিত্তিক অ্যাপলবি। বিপুল সম্পদের মালিকরা কিভাবে কর না দিয়ে তাদের টাকা নিজেদের হাতেই রাখবেন সে বিষয়ে নিজেদের মক্কেলদের পরামর্শ দেয় আইনী প্রতিষ্ঠানটি।

সম্পদ গোপন রেখে কর ফাঁকি দেয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৯। ভারতীয় একটি কোম্পানি বিশ্বব্যাপী অ্যাপলবির মক্কেলদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

Advertisement

অফসোর অ্যাকাউন্ট থাকা ভারতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম প্রকাশ করেছে প্যারাডাইস পেপার্স। সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এবং ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বেশ কিছু কোম্পানীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে প্যারাডাইস পেপার্সে। তবে যে সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সম্পদের তথ্য গোপন রেখেছেন এবং কর ফাঁকি দিয়েছেন তাদের পুরো তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

টিটিএন/এমএস