জাতীয়

বাংলাদেশি পণ্যের পরিচয় তুলে ধরতে সিপিএতে মেলা

বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী কয়েকটি পণ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর এমপিদের সংগঠন সিপিএ’র সম্মেলন স্থলে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দুটি বড় তাঁবুর নিচে ছিমছাম পরিবেশে ২২টি স্টল নিয়ে রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এই মেলা। মেলায় বিদেশিরা প্রবেশ করলেই ‘বাংলাদেশে স্বাগতম লেখা’ বিশেষ ব্যাচ পরিয়ে দেয়া হচ্ছে জয়িতার স্টল থেকে। আছে সোনালী ব্যাংকের একটি বুথ। সেখানে বিদেশিরা কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করতে পারছেন।

Advertisement

মূলত পাটজাত পণ্য, বাংলাদেশের নারীদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প, কুটির শিল্প ও চামড়াজাত পণ্যের জিনিস বিক্রি হচ্ছে সেখানে।

চামড়াজাত পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান গোজ (goose) সেখানে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিতা বোস জাগো নিউজকে বলেন, মেলায় অংশগ্রহণের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের পণ্যগুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। আমাদের প্রত্যেকটি পণ্য প্রিমিয়াম লেদার দিয়ে তৈরি। পণ্যগুলো ভালো মানের হওয়ায় সবাই খুব পছন্দ করছেন।

জুট ডাইভারফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে প্রায় দু্ইশ পণ্য রয়েছে। সেখানে পাটের তৈরি স্যান্ডেল থেকে শাড়ি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে একটি পাটের শাড়ি রয়েছে যার মূল্য রাখা হয়েছে ২৬৫ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২১ হাজার টাকা।

Advertisement

সেখানকার সেলস সেন্টারের ম্যানেজার জাফর সাদিক বলেন, মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাটজাত পণ্য। এখানে পাটের তৈরি সব জিনিসই পাওয়া যাচ্ছে। আমরা পাটের তৈরি সলোয়ার কামিজও তৈরি করে থাকি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সেলস ভাল।

জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোক্তা নাজমা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আগত বিদেশিরা জানেনই না এখানে এ রকম একটি মেলা হচ্ছে। তাই লোক সমাগম কম। মূল অনুষ্ঠানস্থলে একটি ঘোষণা দিলে সবাই জানতে পারতো। নাইজেরিয়া থেকে আগত নারী সংসদ সদস্য ইয়েমি জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশের পণ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি কিছু পণ্য কিনেছি। বিশেষ করে পাটজাত পণ্য পরিবেশবান্ধব হাওয়ায় একটি শাড়ি কিনেছি। নিজে পরতে না পারলেও বাংলাদেশের স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণে রাখবো।

দক্ষিণ আফ্রিকার মালামা প্রদেশের এমপি পিড্ডি মা মাকুলা ঘুরে ঘুরে মেলার পণ্য দেখছিলেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এ দেশে আসার আগে বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু আসার পর থেকে খুব ভাল লাগছে। সিপিএ মেলাও খুব আকর্ষণীয় বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে সিপিএ’র ৬৩তম সম্মেলন। এই সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২ দেশ ও ১৮০ টি সিপিএ ব্রাঞ্চের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও অন্যান্য প্রতিনিধিসহ প্রায় ছয়শ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলন চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এইচএস/এআরএস/এমএস

Advertisement