ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডাইনামাইটসকে প্রথম ম্যাচে একেবারে চেনাই যায়নি। তারকায় ঠাঁসা দলটি সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে করেছিল মাত্র ১৩৬ রান। দ্বিতীয় ম্যাচেই রং বদলে স্বরুপে তারা। এভিন লুইস আর ক্যামেরুন দেলপোর্তের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এবার তারা তুলেছে ৭ উইকেটে ২০২ রান।
Advertisement
টস হেরে ব্যাটিংয়ে আসার পর কুমার সাঙ্গাকারার আগ্রাসী ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছিল স্বরুপে ফিরছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ানরা। সাঙ্গাকারা ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার এভিন লুইস ও ক্যামেরুন দেলপোর্তে আগ্রাসনে ক্ষান্তি দেননি। জিততে হলে খুলনা টাইটান্সকে কতে হবে ২০৩ রান।
টস হেরে ঢাকার হয়ে ওপেন করতে আসেন সাঙ্গাকারা ও এভিন লুইস। ২০ রান করে সাঙ্গাকারা আউট হলেও তার এ ছোট ইনিংসটিতেও ছিল এক ছয় ও ২ চারের মার। বল খরচ করেছে মাত্র ১২টি।
সাঙ্গাকারা আউট হলে উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন দেলপোর্তে। তাকে সঙ্গে নিয়ে আরও বেশি তেতে ওঠেন ক্যারিবীয় হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান এভিন লুইস। আর তার চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দেলপোর্ত। একের পর এক চার-ছয়ের ফুলঝুড়ি ছুটাতে থাকেন তারা দু'জন। দু'জনে মিলে করেন ১১৬ রানের মারকুটে এক জুটি।
Advertisement
এভিন লুইস যখন ৪০ বলে ৬৬ রান করে আউট হন তখন ঢাকার রান ১৫৪। তার এ বিধ্বংসী ইনিংসটি ছিল ৭ চার ও ৩টি বিশাল ছক্কার মার। এরপরই ফিরে যান আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান দেলপোর্ত। আউট হবার আগে ৫ ছয় ও ৪ চারে ৩১ বলে ৬৪ রান করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিয়ে যান।
এ দুই ব্যাটসম্যান আউট হবার পরই মূলত ঢাকার রানের গতি কমে যায়। এমন না হলে আজ হয়তো দলীয় সর্বোচ্চ রানের তাদের নিজেদের রেকর্ডটাই ভাঙতে পারতো। এর আগে বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ ২১৭ রেকর্ডটা ঢাকারই।
খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ ও শফিউল ইসলাম। ব্রেথওয়েট ও আর্চার একটি করে উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। তবে শফিউল ২টি উইকেট পেলেও মাত্র তিন ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৪১টি।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement