নাম করা কোনো শিল্পী নয়। তবুও স্থানীয়দের কাছে সুপরিচিত লিটন দাস (৩০)। লিটন দাসের দুই চোখ অন্ধ। দেখতে পান না। তবে ঢোল, তবলা, হারমোনিয়াম, বাঁশি সবকিছুই বাজাতে পারেন লিটন দাস।
Advertisement
কণ্ঠে রয়েছে মধুর সুর। যে সুরের কারণে তাকে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া করে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে কিছু রোজগারও হয় লিটন দাসের।
প্রতিমাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা রোজগার হয় তার। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিবন্ধী অন্ধ সংগীত শিল্পী লিটন দাস এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরার তালা সদরের খানপুর গ্রামের পাগল দাসের ছেলে লিটন দাস আরও বলেন, আমরা নিম্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। সমাজের কাছে আমাদের অবস্থান খুবই নগণ্য। দুই চোখে দেখতে পাই না। তবে গান-বাজনাগুলো আমি কিভাবে করতে পারি আমি নিজেও জানি না। এটা হয়ত বিধাতার কোনো খেলা। হারমোনিয়াম, গিটার সব কিছুই বাজাতে পারি। বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠান করলে আমাকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু রোগজারও হয়। যা দিয়ে চলে আমার সংসার। বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় এখন আর দিনমজুরের কাজ করতে পারেন না। মা গৃহিনী।
Advertisement
লিটন দাস বলেন, কোনো কোনো সময় বেসরকারি এনজিও সংস্থা থেকে গান গাওয়ার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যায়। সেখান থেকেও কিছু রোজগার হয়। সব মিলিয়ে বলা যায় গান গেয়েই জীবন চলে আমার।
আকরামুল ইসলাম/এএম/আরআইপি