জাতীয়

মশক নিধন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন এম এ হামিদ

এইচইসি মস্ককিউট কিলার নামে একটি মশক নিধন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন চট্টগামের নাগরিক এম এ হামিদ। তিনি দাবী করে বলেন, বর্তমান বিশ্বে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মশক নিধন যন্ত্র হিসাবে এই যন্ত্রটিই একমাত্র পণ্য যা মশাকে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে আকৃষ্ট করে আনতে সক্ষম। যন্ত্রটি সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং নিরাপদ।রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবিষ্কারকের সহযোগী হাসান আল বান্না লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবিষ্কারক এম এ হামিদ, প্যাটেন্ট এন্ড ডিজাইনের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টারার মো. ইলিয়াস ভূইয়া প্রমূখ।লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অতি শিগগরই যন্ত্রটি বাজারে পাওয়া যাবে। যন্ত্রটি আপাতত দুইটি সাইজে তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে এর বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ছোটটি দেড় হাজার টাকা, বড়টি দুই হাজার টাকা। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ২০১০ সালে ৩২ বছর বয়স্ক এ ম এ হামিদ এই তরুণ উদ্ভাবক গবেষণাধর্মী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি এককভাবে মশা নিধন যন্ত্র উদ্ভাবনের কাজ আরম্ভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি সাফল্যের মুখ দেখেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যন্ত্রটি সফল উদ্ভাবনের পর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পেটেন্ট আবেদন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত মালয়েশিয়া আমেরিকা ও চীনে পেটেন্ট পাওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর সাথে সাথে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব পারডো থেকে এই উদ্ভাবনের উপর ডিগ্রি নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মশা থেকে রক্ষার জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এই যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে। মশাকে মারার জন্য এই যন্ত্র কোন বিষ ক্রীয়া তো ছড়াবেই না বরং এই যন্ত্র মশাকে আকর্ষণ করবে যার কারণে মশা নিজেকে নিজেই হত্যা করবে।এআরএস/আরআইপি

Advertisement