কক্সবাজার ও বান্দরবনে পাহাড়ি ঢলের শিকার দুস্থ মানুষদের জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ওই দুই জেলায় কর্মরত সকল চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।ওই দুই জেলায় ইতিমধ্যেই ৩ লাখ পিস খাবার স্যালাইন, ৪০ হাজার স্যালাইন ব্যাগ, ১ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫০ হাজার এন্টিবায়োটিক ওসুধসহ বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্থাপিত ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এবং সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কন্ট্রোল রুমসমূহ বন্যা দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, যে কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সরকারের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যা পরবর্তী যেকোনো ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কক্সবাজার ও বান্দরবানে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ভূমি ধস ও বন্যা পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রমের প্রস্তুতি ও মার্স ভাইরাস মোকাবেলা সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে শুধু এই দুই জেলায় নয়, সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দেশের সকল প্লাবিত অঞ্চলের মানুষদের জরুরি চিকিৎসার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সকল সিভিল সার্জনদের সতর্ক থাকতে হবে।সভায় সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে তা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন। তিনি এ সময়ে এ ভাইরাস মোকাবেলায় জনসচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।মার্স ভাইরাস সংক্রান্ত পোস্টার ও প্যামফ্লেট দেশের সকল বিমান, স্থল ও নৌ-বন্দরে বিতরণের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত রোগ নির্ণয়, রোগ ব্যবস্থাপনা, রোগী পৃথকীকরণ এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবার উদ্যোগ নিতে হবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মার্স ভাইরাস নিয়ে এখন আতঙ্ক বা উদ্বেগের কিছু নেই। বাংলাদেশ যেন আগে ভাগেই এটি মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে পারে, সে লক্ষ্যে পর্যাপ্ত উদ্যাগ নেয়া হচ্ছে।সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মন্জুুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান সহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এমইউ/এসএইচএস/আরআই
Advertisement