সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে অনুষ্ঠিত ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস (বিআইএস)-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় চলতি রেগুলেটরি বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান উন্নত দেশগুলোর কিছু ব্যাংকের করেসপন্ডিং ব্যাংকিং প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেছেন, এতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেমিটারগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের ব্যাংকগুলোকে মানি লন্ডারিংয়ের অজুহাতে করেসপোন্ডিং ব্যাংকিং করতে দেওয়া হচ্ছে না। ড. রহমান যুক্তি দিয়ে বোঝান যে, মূলত এ ধরনের কর্মকাণ্ড রেমিটারদের পরিবারবর্গের জন্য ব্যাপক প্রভাবসহ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে বাঁধাগ্রস্ত করছে।তিনি উন্নত দেশগুলোর গভর্নর এবং বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এসব ছোট ছোট লেনদেনকে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ করতে প্রয়োজনীয় নীতি উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন। গভর্নর বলেন, তা না হলে রেমিটারদের পরিবার দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা এসডিজির আওতায় গৃহীত দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে ব্যাহত করবে।পরে ড. আতিউর তার অভিব্যক্তি বিআইএস বোর্ডের চেয়ারম্যান গভর্নর নয়্যারের সঙ্গে শেয়ার করেন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।আতিউর আরো বলেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং ঝুঁকি হ্রাস করতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং ইতোমধ্যে এফএটিএফ’র কালো তালিকা থেকে মুক্ত হয়েছে। গভর্নর নয়্যার আতিউর রহমানের উত্থাপিত বিষয়ের প্রশংসা করে এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।আতিউর রহমান উপস্থিত অন্যান্য দেশের গভর্নর ও বিআইএস কর্মকর্তাদের জানান, বাংলাদেশ মূলধন পর্যাপ্ততা নিরূপণের ব্যাসেল-৩ নীতিমালা বাস্তবায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণের জন্যে ইতোমধ্যে লিক্যুইডি কাভারেজ রেশিও (এলসিআর) এবং নেট স্ট্যাবল ফান্ডিং রেশিও (এনএসএফআর) এর গাইডলাইন জারি করেছে।বিএ/আরআই
Advertisement