এলার্জি এক অসহনীয় সমস্যার নাম। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য বা ওষুধের ওপর ভীষণ প্রতিক্রিয়া এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্য অসুবিধা সৃষ্টি করে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ঘরের ধুলাবালি, ফুলের ঘ্রাণ, গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ ইত্যাদি সাধারণ ব্যাপারে গা চুলকানি শুরু হলে অথবা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠলে ধরে নিতে হবে আপনার এলার্জি আছে। চলুন জেনে নেই এলার্জি থেকে বাঁচতে কিছু করণীয়-
Advertisement
আরও পড়ুন : ওজন কমাবে ব্লাক কফি
বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মশারি ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এছাড়া ঘরের চারপাশে মেঝে ভালোভাবে পানি ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন উঠোনে বা বেলকনিতে আসা রোদে লেপ, কম্পল ইত্যাদি ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়া যেতে পারে কারণ রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিতে হাউস ডাস্ট মাইট মরে যায়।
প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় কিছু ময়লা বইয়ের সেলফে জমে থাকে এবং জমে থাকা ময়লা অ্যালার্জেন সৃষ্টি করে। দু-এক দিন পর পর বইগুলো নাড়াচাড়া করলে সেলফে থাকা ডাস্ট চলে যাবে।
Advertisement
এক সপ্তাহ পর পর ভেজা কাপড় দিয়ে দরজা এবং জানালা পরিষ্কার করা উচিত। সেইসঙ্গে দরজা এবং জানালার পর্দা মাঝে মধ্যে ভালোভাবে ধুতে হবে।
গোসলখানার জানালা খোলা রাখতে হবে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। গোসলখানা যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত গোসলখানার মেঝে, বাথটাব ও প্যান ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
বাসায় পশুপাখি থাকলে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। পশুপাখি যে জায়গায় থাকে সেই জায়গাটা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। অবশ্যই খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলে দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে নিয়মিত পশুপাখিকে গোসল করালে এবং থাকার জায়গা পরিষ্কার করলে ভালো।
আরও পড়ুন : হবু মায়ের বিশেষ যত্ন
Advertisement
রান্না ঘরের ময়লা-আবর্জনা থেকে মুক্ত হতে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। ফ্লোর ক্লিনার ও গরম পানি দিয়ে রান্না ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
শিশুদের খেলনা, বিভিন্ন শোপিস, জুতা, ফ্যান, এসি, ঝাড়বাতি ইত্যাদিতে ধুলোবালি জমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই নিয়মিত এসব পরিষ্কার করতে হবে।
এইচএন/পিআর