সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশে যে ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫৬টি ব্যাংকই ভোটারবিহীন সরকারের কালো থাবায় পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতে যে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা এসব ব্যাংকে ঘটেছে তা রীতিমত আঁতকে উঠার মতো। তারা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে সে টাকা পাচার করে দিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে, গড়ে তুলছে সেকেন্ড হোম আর বেগম পল্লী। গতকাল এক মন্ত্রী বলেছেন মন্ত্রীরা এখন বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ লুটপাটের কারণে দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শুধু ব্যাংকিং সেক্টর নয় বীমা খাতসহ সমস্ত আর্থিকখাতেও চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। এর আগে শেয়ার বাজার লুট করে লাখ লাখ গ্রাহককে পথে বসিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। শেয়ার বাজারে সর্বস্ব হারিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক আত্মহত্যাও করেছেন।
Advertisement
দেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেটি ক্ষমতাসীনদের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হয়নি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, নিয়োগ বাণিজ্য আর লুণ্ঠিত সম্পদের কাড়াকাড়ি নিয়ে নিজেরা নিজেদের লোককে হত্যার ঘটনা ক্ষমতাসীনদের এখন নিত্যসঙ্গী।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশে এখন তিন কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্টকেও তিনি অগ্রাহ্য করে বানোয়াট কথা বলেছেন। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা রয়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ। হতদরিদ্রের সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ। দিন দিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যেভাবে পাল্লা দিয়ে লুটপাট চলছে, যেভাবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্যার ঢলের মতো সমাজের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে, তাতে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খাইরুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু ও সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।
Advertisement
এমএম/এআরএস/এমএস