জাতীয়

৯২ হাজার হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ

প্রায় ৯২ হাজার হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আবেদনকারী ৯১ হাজার ৭শ’ ৫৮ জনের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) পুলিশের কাছে পাঠিয়েছিল। সরেজমিন যাচাই-বাছাই শেষে এসবি পুলিশ উপযুক্ত, অনুপযুক্ত, ঠিকানা ভুল এই তিন ক্যাটাগরিতে তালিকা করে সম্প্রতি হজ অফিসে জমা দেয়। হজ অফিস শনিবার রাতে ভেরিফিকেশনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে। আগ্রহীরা www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে তালিকা দেখতে পারবেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠানো মোট হজযাত্রীর মধ্যে এক হাজার ৭শ’ ২০ জন যাত্রীর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হয়নি। তন্মধ্যে সঠিক নাম ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় প্রায় দেড় হাজারকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রায় পৌনে তিনশ হজযাত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করে তাদের হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবেনা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে এসবি।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আট শতাধিক এজেন্সি এবং তাদের নিয়োজিত এজেন্টদের মাধ্যমে হাজার হাজার হজযাত্রী আবেদন করে। তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত। জানা গেছে, এজেন্সির নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টরা যখন আবেদনপত্র পূরণ করেছেন তখন কখনো ইচ্ছাকৃত আবার কখনো অনিচ্ছাকৃতভাবে নাম ও ঠিকানায় ভুল করেছে। তবে এসব যাত্রী পুলিশের কাছে দ্বিতীয় দফায় আবেদন ও যোগাযোগ করে ভুল শুধরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজে যেতে পারবেন বলে ওই কর্মকর্তা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন হজ এজেন্সি সূত্রে জানা গেছে, এসবি পুলিশ আবেদনপত্রে দেওয়া মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শুরু করে। কিন্তু আবেদনকারী হাজিদের অনেকে পুলিশ ভীতির কারণে পরিচয় পেয়েও টেলিফোন ধরেননি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এক্ষেত্রে হজ এজেন্সিগুলোই দায়ী। পুলিশ টেলিফোন করে যোগাযোগ করতে পারে এ ব্যাপারে তারা হজযাত্রীদের আগাম জানিয়ে দিলে এ সমস্যা হতো না। একটি সূত্র জানায়, কিছু কিছু হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে একই পরিবারের বাবা-মাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হলেও তাদের শিশু সন্তানদের উপযুক্ত ঘোষণা করা হয়নি। এ সংখ্যা অর্ধশতাধিক। তবে যে পৌনে তিনশ যাত্রীর হজের ব্যাপারে এসবি পুলিশ আপত্তি জানিয়েছে তার কারণ জানতে চাইলে হজ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।চলতি বছর সৌদি সরকার অনলাইনে ভিসা প্রদান করবে। সুতরাং নাম-ঠিকানায় কোনো প্রকার ভুল হলেই ভিসা দেয়া হবে না। বিএ/পিআর

Advertisement