খেলাধুলা

রাজশাহীকে হারিয়ে শুভ সূচনা মাশরাফির রংপুরের

১৫৫ খুব একটা বড় লক্ষ্য ছিল না রংপুরের জন্য। তবুও ম্যাচ বারবার ঝুলে যাচ্ছিল দুই দলের পক্ষেই। কখনও মনে হচ্ছিল রাজশাহী জিতে যাচ্ছে, আবার কখনও মনে হচ্ছিল রংপুরই জিতে যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স। প্রথম ম্যাচ তারা ছয় উইকেটের জয় পেয়েছে।

Advertisement

১৫৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথমেই রংপুরের ঘরে আঘাত হানে মেহেদী হাসান মিরাজ। রংপুরের স্কোরে এক রান যোগ করার পরই এডাম লিথকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। তখনই মনে হচ্ছিল ম্যাচ শেষে ফলাফল বদলে যেতেও পারে।

তবে খেলার মূল পার্থক্য গড়ে দেয় শাহরীয়ার নাফীস ও মোহাম্মদ মিথুনের ৭৫ রানের জুটি। মিথুন যখন ৪৬ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন ম্যাচ ঝুলে ছিল দু'দলের পক্ষেই। নাফীসের সঙ্গে তখন জুটি বাঁধে ব্রিটিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারা। নাফীস ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হলেও, বোপারা ৩৯ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল। শেষ দিকে থিসারা পেরারা ২০ রান করে বোপারাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেন।

এদিকে মিরাজ ছাড়াও ফরহাদ রেজা, কেসরিক উইলিয়ামস ও ফ্রাঙ্কলিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করে রাজশাহী কিংস ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন রনি তালুকদার। দুই ছয় আর তিন চারে সাজানো ছিল তার ৪৭ রানের ইনিংসটি। বল খরচ করেছেন ৩৮টি। আর দলটির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেছেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি। ১৮ বলে করেছেন ২৯ রান‘। আর ফ্রাঙ্কলিন অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।

Advertisement

রাজশাহীর হয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন লুক রাইট ও মুমিনুল হক। তবে খুব বেশিদূর এ জুটি যেতে পারেনি। তার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। এরপর থেকেই দ্রুত গতিতে ব্যাটিং করতে থাকে রাজশাহী। শেষ দিকে সামি কিছুটা মারমুখী হয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারেননি।

রংপুরের হয়ে লাসিথ মালিঙ্গার প্রথম ওভারটি ভাল না হলেও, ইনিংস শেষ করে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে। আর নাজমুল ইসলাম অপু চার ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মাশরাফি ও সোহাগ গাজী একটি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন রবি বোপারা আর মোস্ট এক্সাইটিং খেলোয়াড়ের পুরুস্কার উঠেছে মোহম্মদ মিথুনের হাতে।

এমএএন/এমআরএম

Advertisement