জাতীয়

সিপিএ সম্মেলন উপলক্ষে অপরূপ সাজে জাতীয় সংসদ

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩ম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে জাতীয় সংসদ ও এর আশেপাশ এলাকা। রাতের বেলায় নানার রঙের বাতির ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে সবার। লাগানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। সেখানে শোভা পাচ্ছে বৃটেনের রানি এলিজাবেথ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর ছবি।

Advertisement

আগামীকাল (রোববার) সকালে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সিপিএ’র স্মল ব্রাঞ্চেস-এর সেশন শুরু হলেও মূল কার্যক্রম শুরু হবে কাল থেকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাশ্বত একখণ্ড বাংলাদেশের তুলে ধরা হবে আগত ছয় শতাধিক বিদেশি অতিথির মধ্যে। সেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৫০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে রয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ও বিখ্যাত ব্যক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানরা। উদ্বোধনী মঞ্চ হবে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার আদলে।

জানা গেছে, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বাধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃটেনের রানি এলিজাবেথ এ উপলক্ষে বাণী পাঠাবেন। আর সেই বাণী পাঠ করে শোনাবেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পদাধিকারবলে সিপিএ’র চিফ প্যান্ট্রন রানি এলিজাবেথ ও ভাইস প্যান্ট্রন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও রাতে বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হবে। নৈশভোজটিও হবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। এজন্য আলাদা প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। তবে বিশেষ ব্যক্তিদেরই শুধু ভোজে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বিকেলে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে এশিয়াটিক সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে উদ্বোধনী মঞ্চ তৈরি করা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখভাল করবে। অনুষ্ঠানে রানি এলিজাবেথের বাণী পাঠের পরই ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ নামে একটি পরিবেশনা থাকবে। এরপর সিম্পনি অব ডেমোক্রেসি নামে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হবে। এই পরিবেশনার পর দেখানো হবে সিপিএ’র কর্মকাণ্ড ও গুরুত্ব। এরপর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধিবিষয়ক পরিবেশনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন।

এই সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি দেশ ও ১৮০টি সিপিএ ব্রাঞ্চের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য ও অন্যান্য প্রতিনিধিসহ প্রায় ছয়শ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনের মতো এটিও সফল করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশের সংসদ ও সিপিএ।

এইচএস/বিএ/এমএস

Advertisement