‘স্যার, আমার মা এতো কষ্ট করে মারা গেল। ওরা আমার ভাইকেও ছাড়ল না। আমরা এর বিচার চাই। আমার বাবাও যদি দোষী হয় তারও বিচার চাই আমরা।’
Advertisement
এভাবেই নিজের মা ও ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে পুলিশের রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মঈনুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন নিহত শামসুন্নাহারের বড় ছেলে মুন্না এবং ছোট ছেলে অনিক। মা ও ছোট ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে শুক্রবার রাতে মুন্না কানাডা থেকে এবং অনিক লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন।
শনিবার বাদ জোহর কাকরাইলের সার্কিট হাউস মজজিদে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মসজিদের বাইরে সৃষ্টি হয় এ হৃদয়বিদারক দৃশ্য। জানাজায় শামসুন্নাহারের পরিবার ছাড়াও শাওনের স্কুলের বন্ধুরা উপস্থিত হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন মুন্না এবং অনিক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওসিকে তারা বলেন, আমরাতো কিছু করতে পারিনি। আপনারা প্লিজ একটা কিছু করেন। আমরা যেকোনো মূল্যে এ হত্যার বিচার চাই।
এ সময় তাদের উদ্দেশ ওসি কাজী মঈনুল বলেন, দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ব্যবস্থা করবো। ইতোমধ্যে দুই আসামি ও হত্যাকারী গ্রেফতার হয়েছে।’
Advertisement
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের ভিআইপির রোডের ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আবদুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে হত্যা মামলা দায়ের করে ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। শনিবার ভোরে ‘হত্যাকারী’সন্দেহে জনিকেও গ্রেফতার করে র্যাব। প্রাথমিকভাবে জনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এআর/এএইচ/এমএস