গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সাত দিনের টানা বর্ষণের কারণে জীবননগরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, টানা বর্ষণের কারণে পাঁচ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলাসহ ৪৬৫ হেক্টর রোপা আমন ও আউশ ধানক্ষেত একেবারে পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার ১শ একর কপি ক্ষেত, ৫০ একর সিম, ২শ একর বেগুন, ১শ একর মরিচ, ২০ একর বরবটি ও ৫০ একর ধনেপাতা ক্ষেত পঁচে গিয়েছে। তাছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলা জুড়ে গো খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে গবাদি পশু মালিকরা তাদের পালিত পশু ঘর থেকে বের করতে পারছেন না। গোয়াল ঘরে রেখেই খাওয়াতে হচ্ছে পশুকে। উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় শতাধিক গরুর খামার রয়েছে। এ খামারগুলোতে প্রায় ৫ শতাধিক গরু পালন করা হয়। কিন্তু লাগাতার বর্ষায় মাঠঘাট সব ডুবে যাওয়ায় মাঠ থেকে গোখাদ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।উপজেলার উথলী গ্রামের ধনেপাতা চাষি আব্দুস সালাম মন্টু জাগো নিউজকে জানান, এবার ১ বিঘা জমিতে ধনেপাতার আবাদ করেছি। বীজ, সার ও সেচসহ অন্যান্য খরচ বাবদ জমিতে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের ধনেপাতা চারা পঁচে যাচ্ছে। অপরদিকে, টানা বর্ষার কারণে উপজেলা শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অপরিকল্পিত রাস্তাাঘাটসহ নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে ৭ দিনের টানা বৃষ্টিতে জীবননগর পৌর শহরের প্রধান সড়কের ওপর হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে ড্রেনের পানি উপচে সড়কে জমে থাকায় ড্রেনের ময়লা আর দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে শহর জুড়ে। এ কারণে পথচারীসহ এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কোর্টপাড়া, মুক্তিযোদ্ধাপাড়া, শাপলাকলি পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, আশতলা পাড়া, পোস্টঅফিস পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া জীবননগর বাস স্ট্যান্ড থেকে উপজেলা সড়কের দুই পাশে পানি জমে আছে। এ কারণে সড়কের পাশের অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে।সালাউদ্দীন কাজল/এমজে/আরআইপি
Advertisement