রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকা থেকে ১ কোটি চার লাখ টাকার জাল নোট ও দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এবারের ঈদে তারা ১০ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।রোববার ভোরে বনশ্রীর ‘কে’ ব্লকের ১৬ নং রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- মো. আব্দুর রহিম শেখ (৩৫), ফাতেমা বেগম (২৪), মোসা. রুবিনা খাতুন, মোহাম্মদ আসাদ (২২) এবং মোহাম্মদ তাজিম হোসেন (২৬)।এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার জালটাকা, ১১টি টাকা তৈরির স্ক্রীন শট, ৩টি বোর্ড, ২টি বিশেষ ডট কালার প্রিন্টার, ২টি ল্যাপটপ, ৪ রোল টাকার ভিতরের নিরাপত্তা সুতার ফয়েল, ২ কৌটা টাকার জলছাপে ব্যবহৃত আইপিআই প্রিন্ট্রিং কালি, ২০০টি প্রিন্টারের কার্টিজ, ১ বোতল রেডোসার ক্যামিক্যাল, ৮ রীম কাগজ, ১টি টাকা স্ক্যানার, ১টি লেমিনেটিং মেশিন এবং ২টি টাকা কাটিং গ্লাস জব্দ করে র্যাব।পরে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হয়ে কাজ করতো, যার মূল হোতা ছিলেন আব্দুর রহিম শেখ। ফাতেমা তার প্রথম এবং রুবিনা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তারা এবারের ঈদের ১০ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। আটকদের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ জানান, আব্দুর রহিম শেখ ২০০৮ সালে হুমায়ুন নামে জালটাকা তৈরির কারিগর ও চক্রের মূলহোতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সে হুমায়নের জালটাকা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করতো। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করার ফলে সে জাল টাকা তৈরির বিদ্যা হাতে কলমে শিখে নেয় এবং বনশ্রীর এই ফ্ল্যাট ভাড়া করে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা শুরু করে।র্যাব পরিচালক বলেন, আসামিরা টাকার ভেতরের নিরাপত্তা সূতার ফয়েল চকবাজার, স্ক্রীন ও বোর্ড মালিটোলা, রেডোসার ক্যামিক্যাল মালিটোলা থেকে সংগ্রহ করতো। চক্রের আরো ৫-৬ জন সদস্যের মাধ্যমে জাল নোটগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো তারা।এবারের ঈদের জাল টাকার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান জাল রুপী ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেও জানায় র্যাব।আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।এআর/আরএস/এমআরআই
Advertisement