জাতীয় সংসদে স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদীয় কূটনীতিক কাজে লাগিয়ে সিপিসি সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি তোলা হবে। এ বিষয়ে যাতে তাদের সহমত আদায় করা যায় এবং দেশে গিয়ে এমপিরা নিজ নিজ সংসদে রোহিঙ্গা বিষয়টিকে আলোচনায় এনে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে সিপিএ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে কার্যকরি কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সম্মেলনে আগত ৫২টি দেশের কেন্দ্রীয় এবং প্রদেশিক ১৮০টি সংসদের প্রায় ৫০০ জন সদস্যকে বাংলাদেশের চলমান সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অবগত করা হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ কমপোনেন্ট হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি সিপিসিতে তোলা হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সিপিসিতে আগত সকল অতিথিদের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যার সবশেষ তথ্য এবং কিভাবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যায় তা তুলে ধরা হবে।
স্পিকার বলেন, যেহেতু সিপিসি সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়াবলী আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল, সে জন্য এটিকে অন্তর্ভুক্তি অন্য কোনোভাবে করা যায়নি। তবে সিপিসিতে আগত অতিথিরা এ বিষয়ে জানতে চান, তাদের আগ্রহ আছে, সে জন্য আমরা সম্মেলনের ষষ্ঠ দিনে ওয়াকশপ এইচ এ ‘হোয়াটস ফ্যাক্টরস ফয়েল দ্য রাইচ অব ডিফারেন্ট কাইন্স অফ ন্যাশনালিটিতে’ উত্থাপন করা হবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ৫টি বিষয় উল্লেখ করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটি বিশ্বজনমত একমত হয়েছেন। এটি আর বর্তমানে বাংলাদেশের ইস্যু নেই, এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। সুতরাং এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সিপিসিতেও আগত সকল অতিথিদের জনমত তৈরি করতে সক্ষম হব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিফিংয়ের মাধ্যমে সিপিএর সদস্য দেশগুলো এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে, আশা করি জনমত তৈরি করতে সক্ষম হব।
এইচএস/আরএস/এমএস