দেশজুড়ে

দুর্ভোগের জনপদে পরিণত হয়েছে জাফলং

সিলেটের সীমান্ত জনপদ জাফলং থেকে গোয়াইনঘাটে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ১১ কিলোমিটারের মধ্যে ৯ কিলোমিটারই খানাখন্দে ভরে গেছে। এ রাস্তার সর্বত্রই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছরের বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গর্ত আর খানাখন্দ মাড়িয়ে এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে ভেঙেচুরে বেহাল অবস্থায় পরে থাকলেও তা সংস্কারের যেন কারোই কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, সড়কটি নির্মাণের পর থেকে গত ৭-৮ বছরেও সংস্কার হয়নি।এ সড়কটি দিয়ে পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ৪৪টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদরে যাতায়ত করছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে জাফলং পাথর কোয়ারীতে কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য শ্রমিকদের যাতায়তের একমাত্র সড়কও এটি।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ২০০৭ সালে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই এ সড়কের বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে যায়। এরপর ২০১২ সালের ভয়াল বন্যায় ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিলেও স্থানীয় রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ইজি বাইক ও লেগুনা চালকরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে কোনোরকমে যান চলাচলের উপযোগী করেছেন। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুতেই কয়েকদফা বন্যায় সড়কটি পুনরায় ভেঙে গিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক ভূঁইয়া বাবুল জাগো নিউজকে জানান, সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় আমাদের এই দুর্ভোগের শেষ নেই।স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর গোয়াইনঘাটের প্রকৌশলী কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, বরাদ্দ না থাকায় বর্তমানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে খুব শীঘ্রই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানান তিনি। ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস

Advertisement