দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় লবণাক্ত জমিতে চিনা বাদাম চাষে সাফল্য

লতানো গাছের মুঠি ধরে টান দিলেই উঠে আসে থোকা থোকা চিনা বাদাম। যেন মাটির নিচে লুকানো মুটি মুটি সোনা। লবণাক্ত মাটিতে চিনা বাদাম চাষ করে  সাতক্ষীরার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।জানা গেছে, দেশের আবাদি জমির প্রায় এক তৃতীয়াংশ দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। উপকূলীয় আবাদি জমিতে বিভিন্ন মাত্রার লবণ থাকে। ফলে এ অঞ্চলের জমিতে মাছ চাষ ও লবণসহিষ্ণু জাতের কিছু ধান ব্যতীত অন্য কোন ফসল উৎপাদন করা যায় না। তবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার লবণাক্ত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে বাদাম চাষে এসেছে দারুণ সফলতা। জেলার শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামে ১৮ বিঘা লবণাক্ত জমিতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বাদাম চাষ করা হয়েছে।কৃষক আব্দুস সবুর জানান, বাদাম চাষ করতে অন্য আবাদের মত বেশি কষ্ট করতে হয় না। সেচ বা সারের প্রয়োজন না হওয়ায় খরচও অনেক কম। আগে এ বিস্তীর্ণ জমি এসময় কৃষকদের কোন কাজেই আসতো না। কিন্তু এ বছর কয়েকজন চাষী মিলে এখানে স্বল্প পরিসরে চিনা বাদামের আবাদ শুরু করায় অন্য কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বিনা) ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের লবণাক্ত জমির মধ্যে প্রায় ৫ লাখ হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে চিনা বাদাম চাষ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এর আগে কোন জাত ছিল না। বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পরমাণু শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ২০১১ সালে বিনা চিনা বাদাম-৫ ও ৬ নামে দুটি জাত উদ্ভাবন করি। এটি হেক্টর প্রতি আড়াই টন মত ফলন দেয়।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শেখ হেমায়েত উদ্দিন জানান, লবণাক্ত এলাকার প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় নেই। যেহেতু এটি লবণাক্ত জমিতে খুব সহজেই অল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব সেহেতু আমরা কৃষকদের এটি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি। শ্যামনগরের কৃষকরাও ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠছে।এসএস/এমএস

Advertisement