রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। সহিংসতায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা। সহিংসতা শুরুর আগে এবং আরো ৩ বছর আগে কিছু রোহিঙ্গা মুসলিম নিজ দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায়ও আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই তাদের শিশু সন্তানদের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় গড়ে ওঠেছে একটি স্কুল। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ভালবাসার রংধনু’।জানা যায়, মালয়েশিয়ায় এখন প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রিত আছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার শুরু হওয়ার আগে এবং তিন বছর পূর্বে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা অভিবাসীরা মিয়ানমারের দক্ষিণে থাইল্যান্ড অতিক্রম করার পর মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে।
Advertisement
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৌলিক সুবিধা বিশেষ করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ‘সেলানগু ত্রাণ সংস্থা’ গঠিত হয়। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য এ সংস্থাটি প্রসিদ্ধ লাভ করে। ‘ভালবাসার রংধনু’ স্কুলটি এ সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত।‘ভালবাসার রংধনু’ স্কুলে ৫ বছর থেকে ১৩ বছরের রোহিঙ্গা শিশুদের পবিত্র কুরআনসহ অন্যান্য বিষয় শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মিয়ানমারের সাড়ে ৬ কোটি জনগণের মধ্যে ৬০ লাখ (প্রায় ১০ শতাংশ) অধিবাসী মুসলমান। ইতিমধ্যে জাতিসংঘ সংখ্যালঘু নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত বলে অভিহিত করেছেন। যারা সব ধরনের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
এমএমএস/জেআইএম
Advertisement