এখন হেমন্তকাল। কিন্তু এ সময়েই হাতছানি দিচ্ছে শীত। শহরে শীতের প্রভাব কিছুটা কম হলেও গ্রামে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শহর আর গ্রামে শীতের আগমন কিন্তু একরকম নয়। তবুও অগ্রীম শীতের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। ইতোমধ্যে অনেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
Advertisement
অন্য ঋতুর চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম শীতকাল। শীতের শুরুতেই গ্রামে খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়ে। খেজুর রস, ভাপাপিঠা, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, তিলপুলি, লাল পুয়াপিঠা, দুধে ভেজানো হাতকুলি ছাড়া তো শীত জমেই না। আবার পিঠা খাওয়ার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে আনা কিংবা তাদের বাড়িতে যাওয়ার একটা প্রচলন রয়েছে।
শীতের শুরু থেকেই শিশিরে ভেজা থাকে ঘাস; কখনও কখনও কুয়াশার কারণে দূরের কিছু দেখা অসম্ভব হয়ে ওঠে। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা চাদর কিংবা বড় কাপড় বিশেষ কায়দায় বেঁধে শীত নিবারণ করে। তবে শহরের চিত্র একটু ব্যতিক্রম। হেমন্তে শহরে শীত সেভাবে পরিলক্ষিত হয় না। তবে শহরেও শীত আসে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে।
> আরও পড়ুর- নবান্ন যেন হৃদয়ের বন্ধন
Advertisement
শহরে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটার সময় যখন শুনতে পাবেন, ‘বাইচ্ছা লন একশ’ টাকা, দেইখ্যা লন একশ’ টাকা, যেইডা লন একশ’ টাকা’; বুঝবেন শীত এসে গেছে। এছাড়া আরও একটি ব্যাপার আছে। বিভিন্ন রাস্তার পাশে, গলির ভেতরে দেখবেন পিঠার দোকান। আর সেই দোকানের চারপাশে থাকবে মানুষের ভিড়। অথবা দেখবেন রাস্তার পাশে নারিকেল দেওয়া কিংবা খেজুর গুড়ের ভাপা পিঠার জন্য রীতিমতো লাইন।
এবছর আগাম শীত পড়তে শুরু করেছে। তিন রকম আবহাওয়া শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। ভোরবেলা কুয়াশা পড়ছে, বেলা বাড়তেই গরম, আর সূর্য ডুব দিলেই শীতল হাওয়া। তবে শীতের শুরুতে প্রস্তুতি নিতে গড়িমসি করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। প্রথম কয়েকদিন ঠান্ডা আবহাওয়া অনেকেই উপভোগ করে থাকেন। আর তাতেই দেখা দেয় বিপত্তি। শুরু হয় সর্দি-কাশি আর ঠান্ডাজনিত রোগ।
তাই শীতে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী কিনে রাখুন। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগের ব্যাপারেও সচেতন থাকুন। প্রস্তুতি নিন, ভালো থাকুন।
কেএ/এসইউ/পিআর
Advertisement