রাজধানীতে তীব্র শব্দ দূষণের কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন নগরবাসী। ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র মাত্রার এই শব্দ দূষণের কারণে বিভিন্ন কঠিন রোগের পাশাপাশি ভবিষ্যতে অসুস্থ প্রজন্ম সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে। সুস্থ ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য শব্দ দূষণ রোধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।সাধারণ মানুষের দাবি, অধিকাংশ চালক অকারণে হর্ন বাজিয়ে শব্দ দূষণ করে। রাস্তায় অনবরত শব্দ দূষণের বড় ভুক্তভোগী ট্রাফিকদের কান ও মন দুটোই তাই অনুভূতিহীন।কর্মরত এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, বাসায় যাওয়ার পরও দেখা যায় কানের ভেতর শব্দ হচ্ছে। টিভি দেখতে হলে আমাকে সাউন্ড বেশি দিয়ে শুনতে হয়। অনেক সময় কানে ব্যথাও করে। ২০০৬ সালের শব্দ দূষণ নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ শব্দসীমা নির্ধারণ করা হলেও গবেষণায় দেখা গেছে, এসব এলাকায় শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ সীমার থেকে দেড়গুণ থেকে দিগুণ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৩০টি কঠিন রোগের অন্যতম উৎস শব্দ দূষণ। ক্রমাগত বাড়তে থাকা শব্দের মাত্রা আগামীতে অসুস্থ প্রজন্মের জন্ম দিবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোনায়েদ রহিম বলেন, কোনো মানুষ যদি ৮ ঘণ্টা এই পরিবেশে থাকে তাহলে তার কানে শব্দ দূষণের সমস্যা দেখা দিবে। এবং সে মারাত্মক স্বাস্থ্যহীনতায় ভোগবে।এসকেডি/এমএস
Advertisement