জাতীয়

ড. ইউনূসের জন্মদিন আজ

শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৭৫তম জন্মদিন আজ রোববার। ১৯২৮ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বখশীর হাটের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। তার `সামাজিক ব্যবসা` ধারণাও ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দরিদ্রদের জীবনমানের উন্নতি ঘটানোর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে অধ্যাপক ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একইসঙ্গে তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেন। ব্যুরো অব ইকোনমিক্সে গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে চট্টগ্রাম কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান। সেখানে ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতির ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। দেশে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব নেন। এখানে শিক্ষকতাকালে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের কাজে হাত দেন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গ্রাম জোবরায় গ্রামীণ নারীদের নিয়ে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেই প্রচেষ্টা থেকেই জন্ম গ্রামীণ ব্যাংকের।গত পাঁচ বছর ধরে ড. ইউনূসের জন্মদিনকে `সামাজিক ব্যবসা` দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে ইউনূস সেন্টার। তবে এ বছর ২৮ জুনের আগে রোজা শুরুর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত ২৮ মে সামাজিক ব্যবসা দিবস পালিত হয়েছে।ইউনূস সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, আগেই সামাজিক ব্যবসা দিবস পালিত হওয়ায় রোববার এ উপলক্ষে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান থাকছে না।অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ইউনূস সেন্টারের ফেসবুকে লিখেছেন, "আপনার প্রজ্ঞার আলোয়, আলোকিত হোক শতকোটি প্রাণ, সারা বিশ্বময় "  আপনার ৭৫ তম শুভ জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা।অধ্যাপক ইউনূসকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক ডিগ্রি দিয়েছে। ১০টি দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১১২টি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দেশে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে। আন্তর্জাতিক ৩৪টি কমিশন এবং ৩৬টি উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ইউনূস। উদ্ভাবনী ব্যবসা নিয়ে নিরলস কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে এ কালের মহাউদ্যোক্তা হিসেবে অভিহিত করেছে।আরএস/এমএস

Advertisement