মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের প্রক্রিয়া চলছে। আর এ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭। দেশটিতে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েকটি ক্রাইটেরিয়ার মাধ্যমে বৈধকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে রি-হিয়ারিং এবং পরবর্তীতে এর সঙ্গে (যাদের কোনো কাগজপত্র নেই) যুক্ত হয় ই-কার্ড প্রোগ্রাম। ই-কার্ড এর প্রক্রিয়া শুরু চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ৩০ জুন।
Advertisement
যারা ই-কার্ডের আওতায় নিবন্ধিত হয়েছে তাদেরকে রি-হিয়ারিং এর মাধ্যমে আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৈধ হতে হবে এবং রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন এবং যারা এখনও নিবন্ধন করেননি তাদের দ্রুত মাই-ইজি, ভুক্তিমেঘা ও ইমান এ তিন কোম্পানির মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির অভিবাসন বিভাগের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাস বারবার তাগিদ দিয়ে আসছে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বিদেশি কর্মী বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কাজ করছেন। দেশটিতে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ইন্দোনেশিয়ার, ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নেপালের, ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বাংলাদেশের, ৬ দশমিক ৯ শতাংশ মিয়ানমারের, ভারতের ৫ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ২ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তানের এবং থাইল্যান্ডের রয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যান্য দেশের ৪ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছে মালয়েশিয়ায়।
চলমান রি-হিয়ারিং ও ই-কার্ডের আওতায় প্রায় পাঁচ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০% নিবন্ধিত শ্রমিক ভিসা পেলেও ১০% শ্রমিক নাম ও বয়স জটিলতার কারণে ভিসা পাননি। আর ৬০% নিবন্ধিত শ্রমিকের ভিসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
Advertisement
শ্রম কাউন্সেলর সায়েদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে। বৈধ হতে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন। কিন্তু বৈধ হওয়ার জন্য অনেকে দূতাবাসের পরামর্শ না নিয়ে দালালদের কাছে যাচ্ছে ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে। বাঙালিদের অনেকে হাইকমিশন পর্যন্ত আসতে চায় না। হাইকমিশনার বাঙালিদের সরাসরি হাইকমিশনে এসে বৈধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এমআরএম/জেআইএম