জাতীয়

৭০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল হচ্ছে বিএসএমএমইউতে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৭০০ শয্যার আরো একটি অত্যাধুনিক বিশেয়াষিত ‘সেন্টার বেইজড হাসপাতাল’ স্থাপিত হচ্ছে। কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এর আর্থিক সহায়তায় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলের বিপরীতে বিএসএমএমইউ’র নিজস্ব ৩ দশমিক ৮ একর জমিতে বিশেষায়িত এ হাসপাতাল নির্মিত হবে।অত্যাধুনিক বিশেয়াষিত সেন্টার বেইজড হাসপাতালটি স্থাপনে ১৩০০ কোটি টাকার মধ্যে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ইডিসিএফ অত্যন্ত সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকা অনুদান প্রদান করবে। বাকি ৩শ’কোটি টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা জমির মূল্য বাবদ ধরা হয়েছে। অবশিষ্ট ১০০ কোটি টাকা সরকারি ফান্ড থেকে পাওয়া যাবে।জানা গেছে, অত্যন্ত সহজ শর্তে শতকরা মাত্র শুন্য (০) দশমিক ৪০ ভাগ সুদে ৪০ বছরের মধ্যে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রথম ১৫ বছর ঋণের একটি টাকাও পরিশোধ করতে হবে না। পরবর্তী ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।ইতোমধ্যেই হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে ইডিসিএফ কোরিয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক রিলেশন ডিপার্টমেন্ট (ইআরডি) ও বিএসএমএমইউ’র যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।৭০০ শয্যার এ হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ও বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান শনিবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে জানান, খুব শিগগিরই একনেক (এক্সিকিউটিভ কমিটি অব দি ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল) এর বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন পাওয়া গেলেই নতুন এ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।তিনি আরো জানান, নতুন এ হাসপাতালটি সেন্টার বেইজড হাসপাতাল হবে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে মোট ৬টি সেন্টার থাকবে, যেখানে সংশ্লিষ্ট রোগের যাবতীয় চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হবে।সেন্টার ৬টি হচ্ছে- কার্ডিওভাসকুলার, কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড অ্যান্ডোক্রাইনোলজি, এক্সিডেন্টাল ইর্মাজেন্সী, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ও অনকোলজি।এছাড়াও সেন্টাগুলো সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য সকল প্রকার ল্যাবরেটরি ও ইমেজিং সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১৩শ’ কোটি টাকা ৭শ’ শয্যার হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসারে পরিচালিত হবে। এটি নির্মিত হলে সাধারণ মানুষ বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবার সুযোগ পাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. কামরুল হাসান খান।এমইউ/আরএস

Advertisement