ব্রিটেনে পার্লামেন্ট সদস্য এবং মন্ত্রীদের কাছে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের গণমাধ্যমেও বেশ কিছু খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
কনসারভেটিভ এবং লেবার পার্টি উভয় দলেরই সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
কমন্স লিডার এ্যান্ড্রেয়া লিডসম বলেছেন, ক্যাবিনেট অফিস সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্ত করছে এবং গুরুতর অভিযোগগুলো পুলিশের কাছে তোলা উচিত।
প্রথমে পার্লামেন্টের গবেষক ও সহকারীরা একটি হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রধান দুই দলের এমপিদের খারাপ ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করেন। এরপর দ্য টাইমস রিপোর্ট করে যে একজন মন্ত্রীসহ চারজন এমপি বহুদিন ধরে ওয়েস্টমিনস্টারে তরুণী মেয়েদের যৌন হয়রানি করে আসছেন।
Advertisement
একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি তার সহকারীকে যৌন হয়রানি করেছেন। আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী তার সাক্ষাতকার নেয়ার পর তাকে মেসেজ পাঠান এবং তার শরীর নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন।
এর মধ্যে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন সান পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি সাংবাদিক ও রেডিও উপস্থাপিকা জুলিয়া হার্টলি ব্রুয়ারের হাঁটু অশোভনভাবে স্পর্শ করেছিলেন। বেশ কয়েকজনের দাবি, এসব ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করলেও কোন লাভ হয়নি।
এন্ড্রেয়া লিডসম স্বীকার করেছেন যে এসব অভিযোগ আমলে নেবার বর্তমান পদ্ধতি যথেষ্ট নয়। এসব ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশের পর পার্লামেন্টের স্পিকার জনি বারকো ও লেবার নেতা জেরেমি করবিনসহ প্রবীন রাজনীতিবিদরা এর তীব্র নিন্দা জানান।
এই যৌন কেলেংকারী এমপিদের টাকা খরচ নিয়ে যে কেলেংকারি হয়েছিলো তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন শিরোনামে এমপি-মন্ত্রীদের যৌন হয়রানির খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক টেলিগ্রাফ। এদিকে, লন্ডনের মেট্রো পত্রিকা শিরোনাম করেছে যৌন-কীটদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে আর টাইমস পত্রিকা শিরোনাম করেছে যে, এর ফলে কিছু মন্ত্রী বরখাস্ত হতে পারেন।
Advertisement
টিটিএন/আইআই