খেলাধুলা

আবারও বিসিবি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাপন

আগেই জানা তিনি ও তার প্যানেল প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এটাও চাউর হয়েছিল, তিনিই আবার সভাপতি হচ্ছেন। ‘চাউর হওয়া’ কম বলা হলো। বলা যায়, এটা একরকম নিশ্চিতই ছিল। নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেলই বিসিবি পরিচালক পর্ষদ নির্বাচনে বিজয়ের পথে- এমন খবর আগেভাগেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।

Advertisement

জাতীয় দলের সাংসদ ও বিসিবির গত চার বছরের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই পরবতী চার বছরের জন্য বিসিবি সভাপতি হবার পথে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল (বুধবার) বিকেলে বিসিবি পরিচালক পর্ষদের প্রথম সভাতেই নতুন সভাপতি মনোনিত হয়ে যাবেন। ২৫ সদস্যর নতুন পরিচালক পর্ষদের সিংহভাগ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, সভাপতি পদে নাজমুল হাসান পাপনের বিরোধী কোন প্রার্থী নেই। থাকার কথাও নয়। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটিই হচ্ছে পাপনকে ঘিরে।

খোদ নাজমুল হাসান পাপন নিজ মুখেও জানিয়েছেন, তিনিই সভাপতি হতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকেলে শেরে বাংলার ভিতরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘পরিচালক পর্ষদের প্রায় সব সদস্যেও সাথে কথা বলেছি। কেউ সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান না।’

তবে কি আপনিই আবারো সভাপতি পদে দাঁড়াবেন? পাপনের জবাব, ‘কেউ আগ্রহী নন। বরং তারা সবাই আমাকেই দায়িত্ব নিতে বলছেন, তাই আমিই...।’ এটুকু বলে থেমে যান পাপন।

Advertisement

২৫ পরিচালকের ভোটে নির্বাচিত হবেন নতুন সভাপতি। একজনও প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। তার মানে তার সভাপতি হওয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার। বুধবার বিকেলে বোর্ডের প্রথম সভায়ই হবে সভাপতি নির্বাচন। সেখানেই ২৪ পরিচালক নাজমুল হাসান পাপনকে পূর্ণ সমর্থন দেবেন- এটা আগাম বলেই দেয়া যায়। তার মানে তিনি যে সভাপতি হচ্ছেন- এ বিষয়ে কোনই সংশয়-সন্দেহ নেই।

সভাপতির বাইরে দুজন সহ-সভাপতিও নির্বাচিত হবেন। তবে সেটা বুধবারের প্রথম সভায় নয়। পরে ঠিক করা হবে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের আকাশ বাতাস কেঁপে কেঁপে উঠলো একটি স্লোগানে, ‘এই মাত্র খবর এলো দুর্জয় ভাই জিতে গেল।’ ‘দুর্জয় ভাই। দুর্জয় ভাই।’ ‘পাপন ভাই। পাপন ভাই।’ ওই স্লোগানের ভাষায়ই বলে দিচ্ছে বিসিবি পরিচালক পর্ষদ নির্বাচনে বিজয়ী নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

শুধু স্লোগান আর মুহূর্মুহু করতালিই নয় নির্বাচনে জয়ী নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে তাৎক্ষনিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন মানিকগঞ্জ থেকে আসা তার সমর্থকরা। ফুলের তোড়া আর মালায় ঢেকে যান বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্যাপ্টেন। তবে ঢাকার অপর নির্বাচিত পরিচালক আশফাকুল ইসলাম এবং বরিশালের নির্বাচিত পরিচালক আলমগীর হোসেন আলোর সমর্থকরা সে তুলনায় ছিলেন অনেকটাই নীরব। আশফাকুল ইসলামকে ঘিরে সমর্থকরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেও আলোকে নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন উল্লাস হয়নি।

মানিকগঞ্জ জেলার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করে জেতা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় একা নন, ঢাকা বিভাগ থেকে আরও জিতেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কাউন্সিলর আশফাকুল ইসলাম। অন্যদিকে বরিশাল বিভাগ থেকে হিসেব পাল্টে জিতেছেন বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন আলো।

Advertisement

নির্বাচনে জেতার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, ‘আমি মাঠের মানুষ। নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ক্রিকেটের জন্য আজকে এখানে। এক সময় বোর্ডে থাকার ইচ্ছে কমে গিয়েছিল। তবে পরে মনে হওয়ায় নির্বাচন করেছি।’ আপনি বোর্ড সভাপতি পদে দাড়াবেন কি না? এমন প্রশ্নর জবাবে নাঈমুর বলেন, ‘নাহ, সভাপতি পদে দাঁড়ানোর কোনই ইচ্ছে নেই আমার।’

এআরবি/আইএইচএস/আইআই