আইন-আদালত

‘হাওয়া ভবনসহ ৯ স্থান থেকে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা’

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ৯টি স্থান থেকে। এদের মধ্যে হাওয়া ভবন অন্যতম। এছাড়াও মামলার আসামি আব্দুস সালাম পিন্টুর ধানমণ্ডির সরকারি বাসভবনে মিটিং করেও এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে যুক্তিতর্ক উপস্থানের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসলি সৈয়দ রেজাউর রহমান তা উল্লেখ করেন।

Advertisement

ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরউদ্দিনের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসলি সৈয়দ রেজানুর রহমান। তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী উপস্থাপনের জন্য ৬, ৭, ও ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর মামলায় ২০ জনের সাফাই সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

Advertisement

ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলা তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৪৯। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পালাতক রয়েছেন। এ ছাড়া জামিনে আট এবং কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন।

জেএ/একে/এমএস

Advertisement