কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে ঢাকা ফেরার পথেও আক্রান্ত হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। গাড়িবহরটি ফেনীর মহিপাল ব্রিজ অতিক্রম করার সময় উল্টো পাশের সড়কে দু’টি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কে বা কারা এই আগুন জ্বালিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে মহিপালে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে গাড়িবহরে আগে থেকেই যুক্ত থাকা ফেনী জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই ঘটনাকে ক্ষমতাসীনদের হামলা মনে করে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করে। এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নিরাপদে ঢাকায় পৌছতে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছিল দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকায় খালেদার গাড়িবহর এসে পৌঁছালে ফেনী জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দলীয় প্রধানকে নিরাপদে ফেনী সীমানা পার করে দিতে অগ্রসর হন।
Advertisement
গাড়িবহরটি মহিপাল ব্রিজ অতিক্রম করার খানিক পরেই উল্টোপথে দুটি বাসে আগুন লাগানো হয়। এসময় গাড়িবহরে থানা নেতাকর্মী ও ফেনী জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে থাকা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ম্যাডামের গাড়িসহ আমরা ৫/৬টা গাড়ি মহিপাল ব্রিজ অতিক্রম করার পরই বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে দু’টি বাসে আগুন জ্বলতে দেখেছি।’ খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিরাপদেই ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন বলেনও জানান বিএনপির এই নেতা।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে বহনকারী গাড়িটি মহিপাল ব্রিজ অতিক্রম করার পরই দু’টি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে।’
শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর থেকে কয়েকটি স্থানে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর হামলার মুখে পড়ে। এসময় গণমাধমসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা আহত হন।
Advertisement
এমএম/মিলু/ওআর/এসএইচএস/পিআর/আরআইপি