বাংলাদেশ থেকে দিনে গড়ে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরত নেয়ার পরিকল্পনা করেছে মিয়ানমার। তবে দেশটির সরকার বলছে, ১৯৯৩ সালে দুই দেশের স্বাক্ষরিত শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তির চারটি প্রধান মূলনীতির অধীনে শরণার্থীদের সুক্ষ নিরীক্ষণের প্রয়োজন আছে।
Advertisement
মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিয়েন্ত কিয়াইং বলেন, ‘আমরা একটি তল্লাশি চৌকিতে দিনে শুধুমাত্র ১৫০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারি।’
দেশটির সরকার বলছে, বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হবে তুংপিও লিতওয়ে ও এনগা খু ইয়া গ্রামের দুটি তল্লাশি চৌকির মাধ্যমে। পরে তাদের পুনর্বাসন করা হবে মংডু শহরের দার গি জার গ্রামে।
তবে দুই দেশের স্বাক্ষরিত ১৯৯৩ সালের শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সংশোধন চায় বাংলাদেশ; যাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারেন। কিন্তু ইউ মিয়েন্ত কিয়াইং বলেন, প্রধান চার মূলনীতির পরিবর্তন হবে না।
Advertisement
চুক্তির প্রধান চার মূলনীতিতে বলা হয়েছে, ফিরতে হলে শরণার্থীদের প্রমাণ দেখাতে হবে যে তারা মিয়ানমারের বাসিন্দা, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, যেসব শিশুর জন্ম শরণার্থী শিবিরে তাদের পিতা-মাতাকে অবশ্যই মিয়ানমারে বসবাস করতে হবে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শরণার্থীদের বাংলাদেশের আদালত থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে তা দেখাতে হবে।
তবে মিয়ানমারের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তির অধীনে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেও আরো অতিরিক্ত পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। এই পদক্ষেপের মধ্যে যারা ফিরে আসবে তাদের মধ্যে থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরণার্থীদের ফেরাতে দুই দেশের মাঝে সমঝোতা স্মারক সইয়ের ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম