গাজার একটি সুরঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরের একটি সুরঙ্গ ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আসরাফ আল কিদরা বলেছেন, খান ইউনুস এলাকায় সুরঙ্গে হামলার ঘটনায় আরো নয়জন আহত হয়েছে। তাদের নিকটবর্তী আল আকশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই হামলায় নিহত পাঁচজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। এরা আল কুদস ব্রিগেডসের সদস্য। নিহতরা হলেন, ব্রিগেড কমান্ডার আরাফাত মারসুদ, ডেপুটি কমান্ডার হাসান আবু হাসানেইন, আহমাদ খলিল আবু আরমানেহ, ওমার নাসার আল আল ফালিত এবং জিহাদ আল সামিরি।
ওই হামলায় নিহত বাকি দু’জন মাসবাহ সাবের (৩০) এবং মোহাম্মেদ আল আগা (২২)। তারা দু’জনেই হামাস ইজ এদিন আল কাসাম ব্রিগেডসের সদস্য।
Advertisement
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব। আমরা আমাদের অধিকার নিশ্চিত করব।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অধিকৃত সরকারকে এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষায় কাজ করে যাব।
হামাসের তরফ থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, গাজার লোকজনের বিরুদ্ধে এই হামলা একটি নতুন যুদ্ধ।ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সুরঙ্গ হামলা চালিয়েছে।
Advertisement
ফিলিস্তিনে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সুরঙ্গে পাঁচটি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। খান ইউনুস এলাকার পূর্বাঞ্চলে ওই সুরঙ্গটি খনন করা হয়েছিল। ওই সুরঙ্গকে নিজেদের বলে দাবি করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সীমান্তের কাছে অবস্থিত নির্মাণাধীন সুরঙ্গটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করার পর হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়। ২০০৮ সাল থেকে গাজা উপত্যকায় তিনটি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার আকাশসীমা, আঞ্চলিক জলসীমা এবং তিনটি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল। এর আগে ২০১৪ সালে অপারেশন প্রটেকটিভ এজ নামের একটি অভিযানে দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অভিযানে ৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা এবং সাত বেসামরিক নিহত হয়।
টিটিএন/জেআইএম