আন্তর্জাতিক

কাতার থাকলে থাকবে না বাহরাইন

কাতার যেখানে থাকবে সেখানে বাহরাইন থাকবে না। বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খলিফা বলেছেন, কাতার তাদের ভুলগুলা সংশোধন না করা পর্যন্ত দোহা কোনো সম্মেলন বা আলোচনায় অংশ নিলে সেখানে থাকবে না বাহরাইন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে সৌদি আরব, মিসর, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের। খবর আল জাজিরা।

Advertisement

গত জুনের পাঁচ তারিখ থেকে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে চার আরব দেশ। সন্ত্রাসে মদদ ও অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে স্থল, সাগর এবং আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে দেশগুলো। তবে সব ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দোহা।

মাত্র একদিন আগেই কাতারের আমির শেইখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেছেন, দোহার শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতেই তাদের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে আরব বিশ্বের চার দেশ। মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটস নামের একটি অনুষ্ঠানে আল থানি বলেন, এটা সুস্পষ্ট যে, কাতারের নেতৃত্বের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে আরব দেশগুলো।

বাহরাইনের সরকারি সংবাদ সংস্থা বিএনএর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার রাজা হামাদ বিন ইসা খলিফা বলেছেন, গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) চুক্তি এবং সনদের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না কাতার।

Advertisement

রাজধানী মানামায় মন্ত্রী পরিষদের এক সাপ্তাহিক বৈঠকে হামাদ বিন বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাতার এমন ব্যবহার চালিয়ে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা জিসিসির কোনো সম্মেলন অথবা বৈঠকে বাহরাইন অংশ নেবে না। কাতার যতক্ষণ তাদের ভুলগুলো সংশোধন করবে না এবং যতক্ষণ তারা এগুলো উপলব্ধি করবে না এবং তাদের নীতির কারণে ভুক্তভোগী দেশগুলোর দাবি যতক্ষণ মেনে নেবে না ততক্ষণ তাদের সঙ্গে কোনো কিছুতেই যোগ দেবে না বাহরাইন।

তবে বাহরাইনের তরফ থেকে এমন মন্তব্যের পর কাতারের তরফ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বরেই কুয়েতে জিসিসিভূক্ত দেশগুলোর একটি নির্ধারিত সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা। ওই সম্মেলনে কুয়েতের মধ্যস্ততায় কাতারকে কেন্দ্র করে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

জিসিসি আরব উপদ্বীপের ছয় দেশ বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব এবং আরব আমিরাতের মধ্যে হওয়া রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট।

মাত্র একদিন আগেই বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ আল খলিফা বলেছেন, অবরোধ আরোপ করা দেশগুলোর দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত জিসিসি থেকে কাতারের সদস্যপদ স্থগিত করা উচিত।

Advertisement

টিটিএন/জেআইএম